ভুল কার আর মাশুল দেবে কে?
বাংলা ভাষায় প্রবাদ বাক্যগুলো যেন অভিজ্ঞতার নির্যাস। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতাগুলো তিক্ত, ঘটনাগুলো প্রতারণার এবং ফলাফল বঞ্চনা। তাই প্রবাদ বাক্যগুলো ব্যবহৃত হয় সাধারণত সতর্ক থাকার জন্য। যেমন মুজতবা আলি তার প্রবাসবন্ধু গল্পে আব্দুর রহমান কর্র্তৃক বিপুল খাবারের আয়োজন দেখে যে প্রবাদ বাক্যটি ব্যবহার করেছিলেন তা হলো, কার গোয়াল আর কে দেয় ধোঁয়া। টাকা তার আর খরচ করেছে আব্দুর রহমান। দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের নকশার ভুল দেখে আমাদেরও বলতে হয়, কার ভুল আর কে দেয় মাশুল। দু-একটা প্রয়োজনীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে মারাত্মক ভুল আর সরকারি ব্যয় বাহুল্যের বিষয়টা দেখলে এ কথার সত্যতা বুঝতে কারও কষ্টই হবে না।
খাবারের শুরুতে ভর্তা ভাজির মতো খবরের শুরুতেও ছোট ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টা দেখা যাক! সরকারি বৈঠকের খবর থেকেই জানা গেল নকশায় ত্রুটির কারণে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিতব্য সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। কাজ ২০১৯ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়নি এবং খরচ বৃদ্ধিও থেমে থাকেনি। পাঁচবার সময় বাড়ানোর পর ষষ্ঠবারের মতো ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সময় এবং খরচ বেড়ে গেছে ১০০ শতাংশ অর্থাৎ দ্বিগুণ।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সেতু নির্মাণ
- সেতু নির্মাণ কাজ