
ডেঙ্গুর দ্বিতীয় আক্রমণ কেন ভয়ানক
ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন রয়েছে। যে কোনো একটি ধরন দ্বারা কেউ আক্রান্ত হলে আজীবনের জন্য সেই ধরনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে। ফলে ওই ব্যক্তি সেই ধরনের ডেঙ্গু দ্বারা আর কোনোদিন আক্রান্ত হবে না। কিন্তু বাকি তিনটি ধরন দ্বারা ব্যক্তিটি আক্রান্ত হতে পারে। তা হতে পারে ভয়ানক বিপদের।
কতটা মারাত্মক : দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তীব্র ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা ১৫ গুণ বেড়ে যায়। আগে তীব্র ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতো শিশু-কিশোররা। হালজমানায় এ ধারা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। ১৫ থেকে ৪০ বছরের বয়সী ব্যক্তিরা তীব্র ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। বৃদ্ধরাও আক্রান্ত হচ্ছে তীব্রমাত্রার ডেঙ্গুতে।
কেন দ্বিতীয় আক্রমণ মারাত্মক: দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু দ্বারা আক্রান্ত হলে শরীরের কোষে কোষে অনেক ভাইরাস অনুপ্রবেশ করে। আমাদের দেহ এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা তথা ইমিউনতন্ত্রের যুদ্ধংদেহি আচরণের কারণে শরীরে শুরু হয় বিষম বিপর্যয়। রক্ত জালিকা হয়ে পড়ে ছিদ্রযুক্ত। কখনো সখনো এসব রক্ত জালিকার মাঝে রক্তজমাট বেঁধে যায়। অনেক অঙ্গ হয়ে পড়ে বিকল। আমরা বলে থাকি মালটি অর্গান ফেইলর। লিভার, কিডনি, ফুসফুস এমনকি হৃৎপিন্ড পর্যন্ত বিকল হয়ে পড়তে পারে।