নিয়ন্ত্রকও মানছে না ওষুধের দাম বাড়ানোর আইন
একসময় দুই শর বেশি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দিত সরকার, এখন ঠিক করতে পারে মাত্র ১১৭টির। এ ক্ষেত্রে কিছু আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণের বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু তা-ও মানছে না ওষুধ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
১৯৮২ সালের ঔষধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশের ১১(১) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ‘সরকার অফিশিয়াল গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।’ আইনের এই ধারা অমান্য করে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওষুধের দাম বাড়িয়ে চলেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ২০২২ সালে এভাবে দুবার ওষুধের দাম বাড়িয়েছে সংস্থাটি।
ওষুধের দাম বাড়িয়ে প্রথম প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ২০ জুলাই। সেই প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বহুল ব্যবহৃত ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন মাত্রার প্যারাসিটামলের দাম বাড়ানো হয় ৫০ থেকে শতভাগ। ৪০ টাকার অ্যামোক্সিসিলিনের দাম বাড়িয়ে করা হয় ৭০ টাকা এবং ২৪ টাকার ইনজেকশন হয়ে যায় ৫৫ টাকা।