‘সরকার অর্থ পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ চায় না’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, সরকার চায় না অর্থ পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ হোক। লুটপাটের কারণেই দেশে গণতন্ত্র নেই। তাই আমরা চাই পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। বিদেশে গিয়ে পরিশ্রম করে বৈধ পথে প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠায়। অথচ অবৈধ পথে এর চাইতে বেশি টাকা পাচার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে দলের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পাচার এক মারাত্মক সমস্যা। কিন্তু বছরে কত টাকা পাচার হয় তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা হিসাব কারও কাছে নাই। সরকার চায় না এ হিসাব থাকুক। তারা এসব পাচারের হিসাব এবং তথ্য-উপাত্ত সচেতনভাবে নষ্ট করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। সরকারের এইসব কাজের অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ আছে। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত না করতে নির্দেশনা দেওয়া।
তিনি বলেন, দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট পাচার বন্ধে ২০১৮ সালের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির তথ্য ডিএফআই-কে সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তাদের থেকে কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের সব অর্থমন্ত্রীই দাবি করে আসছেন যে, দেশ থেকে যা পাচার হয়েছে তার পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য। অথচ ২০২০ সালের আগস্ট মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে, গত ৩ বছরে ৩০টি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮২১ কোটি টাকা পাচার করেছে।