কবে শেষ হবে ঢাকার যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন-নির্মাণকাজ
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় মেট্রোরেল এমআরটি-৫-এর নর্দান রুটের গ্রাউন্ড ব্রেকিং তথা নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এ মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশ পাতালপথে (আন্ডারগ্রাউন্ড), আর সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশ নির্মাণ করা হবে উড়ালপথে (এলিভেটেড)। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য যে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দিয়েছে সরকার, তাতে এ মেট্রোর কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২০২৮ সালে।
ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬, উত্তরা-মতিঝিল-কমলাপুর) দ্বিতীয় অংশ উদ্বোধন করা হবে আগামী ২০ অক্টোবর। ২০১২ সালে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। গত বছরের ডিসেম্বরে এ মেট্রোর উত্তরা-আগারগাঁও অংশ চালু হয়। এবার দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও-মতিঝিল চালু হতে যাচ্ছে। তবে এখনই এ মেট্রোরেলের কাজ শেষ হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মেট্রোরেলটি কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে। ডিএমটিসিএল আশা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত পুরো মেট্রোরেলটির কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
এর আগে চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতেই ঢাকার প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এমআরটি লাইন-১ নামে অভিহিত মেট্রোটির পাতালপথ অংশ গড়ে তোলা হবে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। আর নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ হবে উড়ালপথ অংশ। বর্তমানে ঢাকার পূর্বাচলে এ মেট্রোর জন্য ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে মেট্রোর মূল অংশের নির্মাণকাজ এখনো শুরু করতে পারেনি ডিএমটিসিএল। এরই মধ্যে বাড্ডা, নতুন বাজার, কমলাপুরসহ ১২টি স্টেশনে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ নির্মাণের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে হাতিরঝিল এলাকায় কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড, এমআরটি লাইন-৫, সাউদার্ন রুটের জন্য সংযোগ করিডোর, ট্রান্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড হাব নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজন আরো জমির, যেগুলো অধিগ্রহণের জন্য এখনো পরিকল্পনা কমিশন থেকে অনুমতিই পায়নি ডিএমটিসিএল। এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা, যা আরো বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এমআরটি লাইন-১-এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁইয়া। প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।