সাফল্যগাথা নিয়ে এগিয়ে চলেছে চুয়েট
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে এক মনোরম পাহাড়ি ভূমিতে প্রায় ১৭১ একর জায়গাজুড়ে চুয়েট ক্যাম্পাসের অবস্থান।
মূল শহর থেকে বেশ দূরে গ্রামীণ জনপদে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সীমিত বাজেটের মধ্যে চুয়েট উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় সাফল্য অর্জন করে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্বমানের ল্যাব ও যন্ত্রপাতি সংযোজন; রোবট গবেষণায় যুগান্তকারী উদ্ভাবন; কর্ণফুলী ও হালদা নদী সম্পর্কিত গবেষণা; বহুবিধ শিল্প সমস্যার সমাধান ও কারিগরি সহায়তা প্রদান; বৃহত্তর চট্টগ্রামের ভূমিকম্প, যানজট, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণবিষয়ক জনগুরুত্বপূর্ণ গবেষণা; শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশন; বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় ও যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ; সর্বোপরি সরকারের রূপকল্প অনুসরণে স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের নিত্যনতুন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ চুয়েটের উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে বিবেচিত।
১৯৬৮ সালে ‘চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ হিসেবে মাত্র তিনটি বিভাগ এবং ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), চট্টগ্রাম’ নামে অভিহিত হয়। ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ১৮টি বিভাগে ৯২০ আসনের (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটাসহ মোট ৯৩১ আসন) বিপরীতে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত। একই সঙ্গে ১০১ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারীসহ ৩৩৩ জন শিক্ষক, ১৮০ জন কর্মকর্তা এবং ৩৫০ জন কর্মচারী একটি সুখী পরিবার হিসেবে চুয়েটকে এগিয়ে নেওয়ার ব্রতে নিযুক্ত।