পৃথিবীর বিস্ময়কর ৫ স্কুল

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ২২:২১

১. নিজ নিয়মের স্কুল
স্কুলে যদি পরীক্ষার কোনো চল না থাকত, ক্লাসে বাড়ির কাজ দেওয়ার কথা যদি ভুলে যেতেন শিক্ষক; কিংবা সব নিয়মই যদি নিজের মতো করে চলত! এমন স্কুল তো আর হওয়ার নয়, তাই না? কিন্তু এমন একটি স্কুল আছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিন কাউন্টিতে। ২০০৪ সালে ‘আমার স্কুল, আমার নিয়ম’ নীতিতে গড়ে তোলা হয় ব্রুকলিন ফ্রি স্কুলটি। এখানে নিজের পছন্দমতো সৃজনশীল কায়দায় পড়ালেখার সুযোগ পায় ৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা। সেখানে ইচ্ছেমতো খেলা যাবে, ভয় নেই টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখে বকা শোনার, মন চাইলে বেড়াতে বা রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়াতেও থাকবে না কারোর বারণ। বরং সুযোগ রয়েছে সেসব কাজে নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনার, আর তার বদলে কেবল ঘুমোতে চাইলেও শাস্তি নেই মোটেই। সাপ্তাহিক সভা, ভর্তি ও স্কুল পরিচালনার সব কায়দাও ঠিক করে স্কুলপড়ুয়ারাই। নিয়ামকের কাজ করেন শিক্ষকেরা। 


২. নৌকা স্কুল 
সবকিছুই আসলে বিদেশে থাকে না। আমাদের দেশেও থাকে কিছু উদাহরণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এ দেশ। অন্য অনেক অঞ্চলের মতো চলনবিল এলাকা বন্যায় ডুবে যায় প্রতিবছর। বন্যাপ্রবণ এ অঞ্চলের শিশুদের স্কুল যাওয়া হয়ে পড়ে অনিশ্চিত। সেই জটিলতা সুরাহায় চলনবিল এলাকার শিশুদের জন্য ভাসমান নৌকা স্কুল গড়ে তুলেছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থা। ২০০২ সালে গড়ে তোলা এই স্কুলের প্রতিটি নৌকায় রয়েছে পাঠাগার, কম্পিউটার, ইন্টারনেট-সুবিধা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সৌর প্যানেল। বাড়ি থেকে স্কুল বা স্কুল শেষে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় এ নৌকাগুলো দিয়েই। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতে অসাধারণ এই ভূমিকার জন্য জাতিসংঘের ফান্ডস অ্যান্ড প্রোগ্রামস থেকে উদ্ভাবনী বিভাগে স্বীকৃতি পেয়েছে এই ভাসমান স্কুলের ধারণাটি। নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের মোট ৮টি দেশে পরিচালিত হচ্ছে এ ধরনের স্কুল।


৩. জাদুকরি স্কুল
জাদুর স্কুল শুনেই হ্যারি পটারের কথা মনে পড়ছে? সে রকম মোটেও নয় এ স্কুল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সেলাম শহরে আছে বাস্তব এ জাদুর স্কুল। প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানদের সমালোচনার মুখে পড়ে শিকাগোর রোজভিল থেকে ক্যাম্পাস বদল করে এখানে আসে স্কুলটি। ১৬৯২ ও তার পরের বছরজুড়ে জাদুবিদ্যার দায়ে ২০০ জনের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল সেলাম শহরে। জাদুকর সম্প্রদায় ও ডাইনিবান্ধব হওয়ার জন্য মূলত এ জায়গা ক্যাম্পাস হিসেবে বেছে নেওয়া। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ও অনলাইনে জাদুবিদ্যা শেখার সুযোগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।


৪. গুহা স্কুল
স্কুল মানেই উঁচু দালানকোঠার সাজানো শ্রেণিকক্ষের ভেতর বসে পড়ালেখা করা। কিন্তু সে ধারণা ভেঙে দিয়েছিল চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মিয়াও গ্রাম। পাহাড়ি ও দরিদ্র সেই জায়গায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রাকৃতিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও বেশ জরুরি, এ কথা বুঝতে দেরি হয়নি মিয়াও গ্রামের অসহায় লোকজনের। ফলে ১৯৮৪ সালে নিজেদের উদ্যোগেই গুহার মধ্যে একটি স্কুল গড়ে তোলে তারা। নাম দেয় ডংঝং মিড-কেভ প্রাইমারি স্কুল। ৮ জন শিক্ষক ও ১৮৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর পথচলা শুরু। সেখানে ছিল কাঠ দিয়ে তৈরি শ্রেণিকক্ষ। ছিল বাস্কেটবল কোর্টসহ হরেক রকম খেলাধুলার সুযোগ। নিজেদের বিকশিত করার লড়াইয়ে এতটাই সচেতন হয়ে উঠেছিল মিয়াও গ্রামের মানুষেরা যে যাতায়াতে রোজ ছয় ঘণ্টা লাগলেও তোয়াক্কা করেনি তারা। তবে ২০১১ সালে চীন সরকার বন্ধ করে দেয় স্কুলটি।


৫. পাতাল স্কুল
যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার এক সত্যিকারের কাহিনি এটি। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আঁটলেন এক গোপন ফন্দি। জন এফ কেনেডির সেই ফন্দি ছিল আদতে যুদ্ধের সময় মানুষের জন্য মাটির নিচে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্র। নিউ মেক্সিকোর আর্টেসিয়ায় গড়ে তোলা সেই আশ্রয়কেন্দ্রই রূপায়িত হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড বা পাতাল স্কুল হিসেবে। অ্যাবো এলিমেন্টারি স্কুল অ্যান্ড ফল আউট শেল্টার নামে তাকে চেনে সবাই। স্কুলটি ভারী স্টিলের বড় তিনটি দরজার ভেতর সুরক্ষিত। একেকটি দরজার ওজন ৮০০ কিলোগ্রাম করে। ১৯৬২ সালে গড়ে তোলা সেই স্কুলের ছাদে আছে খেলার মাঠ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও