চুরি হতে পারত প্রায় এক শ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ বা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ ব্যাংক চুরির এই ঘটনা গোপন রেখেছিল ২৪ দিন। ঘটনা জানাজানি হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একই বছরের ১৫ মার্চ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার।
একই দিন বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল থানায় মামলা করে এবং পরের দিন মামলা হস্তান্তর করা হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডির কাছে। ফরাসউদ্দিন কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় একই বছরের ৩০ মে। ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছে সিআইডিও। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) পৃথক তদন্ত করেছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে একটি ফৌজদারি মামলার নথিতে এফবিআইয়ের তদন্তের তথ্য দেওয়া হয়েছে। সব তদন্তেই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
হলিউডে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র বিলিয়ন ডলার হাইস্ট মুক্তি পেয়েছে ১৪ আগস্ট। সেখানেও রিজার্ভ চুরির ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে। সাইবার অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞ ও গবেষকেরা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, ঘটনার প্রকৃতিও বিশ্লেষণ করেছেন, নতুন কিছু তথ্যও দিয়েছেন। প্রামাণ্যচিত্রে বারবারই বলা হয়েছে যে ঘটনা ৪ ফেব্রুয়ারি রাতের হলেও আসলে এর পরিকল্পনা করা হয় এক বছরের বেশি সময় ধরে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সুইফট-ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে ঢুকেছিল অনেক আগে থেকেই।