আমদানি বকেয়া আসলে কত?
বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে কী হচ্ছে! রফতানি করা পণ্যের বিপরীতে যে পরিমাণ আয় দেশে আসার কথা তা আসছে না। আবার বেশি দেখিয়ে পণ্য আমদানির পর এখন দাম কম দেখিয়ে আমদানি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংকগুলোর এলসি খোলার তথ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন ইমপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমের (ওআইএমএস) ড্যাশবোর্ডে এলসি খোলার তথ্যের কোনও মিল নেই। বকেয়া আমদানি বিলের পরিমাণ নিয়েও দেখা দিয়েছে সন্দেহ। অনেকেই বলছেন, ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিল পরিশোধ বাকি আছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় বৈদেশিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে আলোচনা হয়। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বকেয়া ১২ বিলিয়নের তথ্য সঠিক নয়। সঠিক তথ্য হলো, সরকারি-বেসরকারি উভয় খাত মিলিয়ে বকেয়া বিল রয়েছে সাড়ে ৩ বিলিয়ন বা সাড়ে তিনশ’ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবেই বকেয়ার তথ্যে বড় পার্থক্য
আমদানির বিল সম্পর্কিত বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ভুল তথ্য দিচ্ছে অনেক ব্যাংক। প্রতিটি শাখা থেকে এলসি খোলার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ইমপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমে (ওআইএমএস) তথ্য আপলোড করতে হয়। এই ড্যাশবোর্ডে গত ৩০ জুন পর্যন্ত আমদানি বিলের পরিমাণ দেখাচ্ছে ৪০.০৯ বিলিয়ন (৪ হাজার ৯ কোটি) ডলার।