দৈহিক আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায়
শৈশবে দৈহিক গড়ন নিয়ে কারও মাথা ব্যথা না থাকলেও কৈশোরে পা দেওয়ার সাথে সাথে দেহে যে পরিবর্তন দেখা দেয় তার সবটাই যে ব্যক্তির পছন্দসই এমনটা নয়।
একইভাবে একটা নির্দিষ্ট বয়সসীমার পরে নারীদের মাঝে একই সমস্যা দেখা দেয়।
কারও হাত খুব চিকন কিন্তু গাল অনেক বেশি ভরাট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ম্যাগাজিনগুলোতে ‘আওয়ার গ্লাস ফিগার’কে আদর্শ মাপকাঠি ধরায় এমন বিভ্রাট সৃষ্টি হয়; যা অনেকেরই আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়।
দৈহিক আত্মবিশ্বাস বলতে যা বোঝায়
হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নয়া দিল্লির ‘আর্টেমিস হসপিটাল’য়ের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক এবং প্রধান মনোরোগ-বিশেষজ্ঞ ডা. রাহুল চাঁধক বলেন, “দৈহিক আত্মবিশ্বাস হল নিজের দৈহিক গড়নকে মেনে নেওয়া, প্রশংসা করা এবং নিজ দেহ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করা।”
দৈহিক আত্মবিশ্বাস মানে কোনো নির্দিষ্ট দৈহিক গড়ন লাভ করা নয় বরং নিজের দেহের সৌন্দর্য ও স্বকীয়তায় স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করা।
দৈহিক আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব
নিজের দৈহিক গড়ন ও ত্বকে স্বাছন্দ্যবোধ করা জরুরি। এতে নিজের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে।
মানসিক শান্তি: চাঁধকের মতে, “দৈহিক আত্মবিশ্বাস দেহচিত্র সম্পর্কিত উদ্বেগ, হতাশা ও মানসিক চাপ কমায়। দেখতে কেমন লাগছে তার চেয়ে বেশি নিজের ভালো থাকা ও সার্বিক সুখ শান্তির প্রতি মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে দৈহিক আত্মবিশ্বাস।”
সুস্বাস্থ্য: দৈহিক আত্মবিশ্বাস সম্পন্ন ব্যক্তিরা দেহের আকার পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ না দিয়ে বরং সুস্থ ও শক্তিশালী হওয়ার লক্ষ্যে নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকে।
আত্মসম্মান বৃদ্ধি: দৈহিক গড়নকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি আত্মসম্মান বাড়াতে ভূমিকা রাখে। নিজেকে ইতিবাচক ও অনন্যগুণাবলী সম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করতে সহায়তা করে।
সুদৃঢ় সম্পর্ক: দৈহিক আত্মবিশ্বাস অন্যদের সাথে সম্পর্ক উন্নত করে। ফলে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় ও পরিজনদের সাথে যোগাযোগ আরও সুগম হয়।
দেহের প্রতি সম্মানবোধ: দৈহিক আত্মবিশ্বাস দেহের প্রতি সম্মানবোধ বাড়ায় ও যত্নশীল করে তোলে। ফলে সুস্থ জীবনযাত্রা অনুশীলন করা সহজ হয়।
সামাজিক চাপমুক্ত: দেহ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা সমাজের বাঁধা-ধরা সৌন্দর্যের মানদণ্ডের পরোয়া করে না। আর সেটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে রাতের ঘুমও হারাম করেন না। এর মাধ্যমে নিজে স্বাধীনভাবে বাঁচা ও নিজের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পান।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- টিপস
- আত্মবিশ্বাসী