আমদানি কমেছে সূর্যমুখী ও জলপাই তেলের
শৌখিন ভোজ্যতেল হিসেবে পরিচিত অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল ও সূর্যমুখী তেলের বাজার প্রায় পুরোটা আমদানিনির্ভর। কয়েক বছর আগেও এসব তেল শুধু তারকা মানের হোটেল কিংবা অভিজাত শ্রেণির লোকদের রান্নার তালিকায় ছিল। স্বাস্থ্যকর হওয়ায় মহামারি করোনার পর সাধারণ ভোক্তাদের অনেকেই এ-জাতীয় ভোজ্যতেলে ঝোঁকেন। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জলপাই ও সূর্যমুখী তেলের আমদানিও বাড়ে। যদিও ডলার-সংকটের কারণে এসব তেলের আমদানি খানিকটা কমে গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ১ হাজার ৫৩৭ টন জলপাই তেল এবং ৪ হাজার ৪৫৮ টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করা হয়েছিল। সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে জলপাই তেল আমদানি হয়েছে ৮১১ টন। আর সূর্যমুখী তেল আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৩৭২ টন। তার মানে গত অর্থবছর জলপাই তেলের আমদানি কমেছে ৭২৬ টন। আর সূর্যমুখী তেলের আমদানি কমেছে ২ হাজার ৮৬ টন।
অবশ্য দেশের জলপাই ও সূর্যমুখী তেলের বাজার করোনাকালের আগে এতটা বড় ছিল না। করোনার পরই মূলত বাজারটা বাড়তে থাকে। এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জলপাই তেলের আমদানি হয়েছিল ১ হাজার টনের কম। তখন সূর্যমুখী তেলের আমদানি হয় মাত্র ৩ হাজার ৫৬০ টন। করোনার পর সামর্থ্যবানদের অনেকেই সয়াবিন তেল খাওয়া কমিয়ে বিকল্প ভোজ্যতেলে (শর্ষের তেল, কুড়ার তেল, জলপাই তেল, সূর্যমুখী তেল, তিলের তেল ও বাদাম তেল) ঝুঁকলে আমদানি বাড়ে।