সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন?
অনেকেই আছেন একটু হাঁটাহাঁটি করলে হাঁপিয়ে যান। আবার কারও কারও সিঁড়ি দিয়ে দোতলা পর্যন্ত উঠতেই দম ফুরিয়ে যায়। অনেক সময় ফুসফুসের সমস্যা থাকলে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। শুধু ধূমপানের অভ্যাস নয়, চারপাশে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা দূষণের সমস্যাও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ফুসফুসের জন্য। এ কারণে সময় থাকতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া জরুরি।
এছাড়া ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে, বুকে বার বার কফ জমলে, কাঁধ-পিঠে যন্ত্রণা হলে কিংবা গলার স্বর পরিবর্তন হলে সতর্কহতে হবে। কেবল শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাই নয়, এই সব লক্ষণও ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। ফুসফুস সুস্থ রাখতে যেসব অভ্যাস বদলানো জরুরি-
১. ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে সবার আগে ধূমপান ছাড়তে হবে। এমনকি, কাছাকাছি কেউ ধূমপান করলেও চেষ্টা করুন সেই স্থান থেকে সরে আসতে। কারণ পরোক্ষভাবেও ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
২. ফুসফুস সুস্থ রাখতে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের শ্বাসের ব্যায়াম ও যোগাভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চায় ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়ে। ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে করলে তবেই কাজ হবে।
৩. ফুসফুস সুস্থ রাখতে হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ওজন বেড়ে গেলেই ফুসফুসের উপর বেশি চাপ পড়তে শুরু করে। এর ফলে অঙ্গটির কার্যকারিতা কমে যায়।
৪. ঘরে কিংবা গাড়িতে কাউকে ধূমপান করতে নিরুৎসাহিত করুন। বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার লাগাতে পারেন। ফুসফুসের কোনও রকম সমস্যা থাকলে বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৫. রঙিন ফল এবং সবজি ফুসফুস ভালো রাখতে কাজে আসে। বিশেষ করে যারা ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় জর্জরিত, তাদের জন্য এ ধরনের সবজি বেশ উপকারী। ক্যাপসিকাম, টোম্যাটো, কমলালেবু, পালং শাকের মতো সবজিতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি কিংবা ব্ল্যাকবেরিতে ‘অ্যান্থোসায়ানিন’উপাদান ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- ফুসফুসের যত্ন