
নতুন নীতিমালা অ্যাপ স্টোরে, ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’ বন্ধ করছে অ্যাপল
অ্যাপ স্টোরের নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। এর ফলে ডিভাইস থেকে তথ্য নিয়ে বিজ্ঞাপনের জন্য ডিভাইসের মালিকের ওপর অ্যাপের নজরদারি বন্ধ হবে।
মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট বা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে (ডিভাইসটির ব্যবহারকারী) শনাক্ত করা ও তার আচরণ ও কার্যাবলী অনুসরণ করাকে প্রযুক্তির ভাষায় বলে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’। এতে আক্ষরিক অর্থে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহৃত না হলেও আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে যেমন একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তেমনি ডিভাইস থেকে তথ্যাবলী নিয়ে ব্যক্তিকে শনাক্ত করে তার কার্যাবলী অনুসরণ করা যায়।
শীঘ্রই ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারির উদ্দেশ্যে ডিভাইস থেকে ডেটা সংগ্রহ করা অ্যাপগুলোর ওপর অভিযান চালাবে অ্যাপল।
কোম্পানির ডেভেলপার সাইটে বিষয়টি চিহ্নিত করে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ‘৯টু৫ম্যাক’ প্রতিবেদনে বলেছে, ‘আইওএস ১৭’, ‘টিভিওএস ১৭’, ‘ওয়াচওএস ১০’ ও ‘ম্যাকওএস সনমা’র মতো অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ পাওয়ার পর ডেভেলপারদের ‘এপিআই’ ব্যবহারের সম্ভাব্য কারণগুলোর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
যথার্থ কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে ২০২৪ সালে বসন্ত থেকে তাদের নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছে অ্যাপল।
“কিছু এপিআইয়ে ডিভাইস বা ব্যবহারকারী শনাক্ত করতে ডিভাইসের সিগনালে প্রবেশের মাধ্যমে অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। ব্যবহারকারী এতে অনুমতি দেবেন কি না, তার চেয়েও বড় বিষয় হল ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ে আমরা অনুমোদন দেই না।” --লিখেছে অ্যাপল।
যে সকল এপিআই ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে অ্যাপল সে কারণগুলো অ্যাপ নির্মাতাকে অ্যাপের প্রাইভেসি ম্যানিফেস্টে উল্লেখ করে এর যথার্থতা দেখাতে হবে বলে উল্লেখ করেছে অ্যাপল।