চুক্তিতে পোশাক রপ্তানি বাড়ছে, ঝুঁকিও বাড়ছে
তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশের বিপরীতে ব্যাংকের ঋণপত্রের মাধ্যমে নিশ্চয়তা দেয় বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ নিয়মে রপ্তানিকারকেরা একধরনের আইনি সুরক্ষাও পেতেন। তবে কয়েক বছর ধরে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশের বিপরীতে ঋণপত্র আসা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ঋণপত্রের বদলে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে।
পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, খরচ কমাতে তৈরি পোশাকের বড় ব্র্যান্ড বা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণপত্র দেওয়া বন্ধ করেছে। তাতে বর্তমানে পোশাক খাতের তিন-চতুর্থাংশ ক্রয়াদেশ চুক্তির মাধ্যমে আসছে। এর ফলে রপ্তানিকারকদের আইনি সুরক্ষার জায়গাটি ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। সার্বিকভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানির অর্থ দেশে আসার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনি সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিজিএমইএ-বিকেএমইএর যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেশে অনেক আগে থেকে চুক্তির মাধ্যমে ক্রয়াদেশ আসে। তবে এখন সেটি বেড়েছে। বহু বছরের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে এমন সরবরাহকারীকে বর্তমানে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো চুক্তির মাধ্যমে কাজ দিচ্ছে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে পণ্য জাহাজীকরণের আগে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ঋণপত্র চলে আসছে।