দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে

যুগান্তর মো. আবদুল লতিফ মন্ডল প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৬

গত ১২ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে জাতিসংঘের পাঁচ সংস্থা-খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদন ‘দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩’। প্রতিবেদনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি এবং ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের ফলে বৈশ্বিক খাদ্যব্যবস্থা নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩ এসব জটিলতার সার্বিক বিবরণ প্রদান করেছে। বৈশ্বিক ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দ্রুত পরিবর্তনশীল খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াদি স্থান পেয়েছে এ প্রতিবেদনে।


প্রতিবেদনের ফাইন্ডিংসের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো-এক. ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে যত মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগত, করোনা মহামারি, আবহাওয়ার বৈরিতা ও সংঘাতের কারণে সেই সংখ্যায় যোগ হয়েছে আরও ১২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। দুই. ২০২২ সালে বিশ্বের প্রায় আড়াইশ কোটি মানুষ, বিশেষ করে নারী ও গ্রামে বসবাসকারী মানুষ নিয়মিতভাবে পুষ্টিকর, নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেনি। তিন. বর্তমানে বিশ্বে যে হারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব তো নয়ই, উলটো এ সময়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরও ৬০ কোটি বাড়বে। চার. শিশু অপুষ্টি হার এখনো ভয়ংকর পর্যায়ে। ২০২২ সালে বিশ্বে পাঁচ বছর বয়সের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে বয়সের তুলনায় খর্বকায় শিশুর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৮০ লাখ (২২.৩ শতাংশ); বয়সের তুলনায় কম ওজনের শিশুর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫০ লাখ (৬.৮ শতাংশ) এবং স্থূল শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭০ লাখ (৫.৬ শতাংশ)। পাঁচ. প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষ শহরে বাস করবে। ডেমোগ্রাফিক এ পরিবর্তনের কারণে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী নতুনদের চাহিদা মেটাতে এবং ক্ষুধা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টি নির্মূলে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও