প্লাস্টিক নামের পাপ, ডেঙ্গু নামের ফল
ডেঙ্গু বেশ পুরোনো রোগ হলেও ডেঙ্গুর বিস্তৃতির সঙ্গে পলিথিন, প্লাস্টিকের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পলিথিন আবিষ্কার হয় ১৮৯৮ সালে। কিন্তু পলিথিনের বড় পরিসরের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ১৯৪৪ সালে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার চার্লসটনের ডুপন্ট বড় পরিসরে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। দ্বিতীয় বিশযুদ্ধের সময় ও পরে ডেঙ্গুর লক্ষণীয় বিস্তৃতি ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় ১৯৪৫ সালে। ডেঙ্গুর চরম রূপের বিবরণ প্রথম পাওয়া যায় ১৯৫৩ সালে; ফিলিপাইনে।
ডেঙ্গুর বিস্তৃতি আগে নগরগুলোতেই বেশি ছিল। গ্রামে এ রোগের বিস্তার সব সময়ই কম। কারণ, নগরগুলোতেই পলিথিনের ব্যবহার শুরু হয়। অন্যদিকে গ্রামে এসবের ব্যবহার শুরুতে ছিল না। পরে গ্রামে পলিথিন ছড়ালেও শহরের তুলনায় ব্যবহার কম ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে যখন গ্রামেও পলিথিন প্লাস্টিক ছড়াচ্ছে, তখন ডেঙ্গুও গ্রামে ছড়াচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ডেঙ্গু বেড়েছে। ডেঙ্গু বাড়লেই প্রধানত আঙুল তোলা হচ্ছে সিটি করপোরেশনের দিকে। তাদের আধাখেঁচড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এ জন্য দায়ী হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ যদি পূর্ণমাত্রায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও করে, ডেঙ্গু নির্মূল সম্ভব হবে না। অন্তত যতদিন প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ না হচ্ছে; পরিবেশে ছড়িয়ে থাকা প্লাস্টিক, পলিথিনের একটা ব্যবস্থা করা না যাচ্ছে।