পোশাকের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী, রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য দুই অংকের

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪০

কভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত কাটিয়ে ক্রমেই বাড়ছিল বাংলাদেশের পোশাক রফতানি। এর মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় তার প্রভাব পড়ে পুরো বিশ্বে। ফলে সব দেশকেই গত বছরজুড়ে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়। কমে যায় পোশাকের ক্রয়াদেশ। বর্তমানে বড় বাজারগুলোর মূল্যস্ফীতির চিত্র বদলাতে শুরু করলেও ভোক্তাদের ক্রয়াভ্যাস ও ক্রেতাদের ক্রয়াদেশে তেমন কোনো পরিবর্তনের আভাস মিলছে না। এ পরিস্থিতির প্রতিফলন হিসেবে পোশাকের নিম্নমুখী উৎপাদন প্রবৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের উৎপাদনবিষয়ক সরকারি পরিসংখ্যানে। যদিও পোশাকপণ্য রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণে নেই বাস্তবতার প্রতিফলন। এমন পরিস্থিতিতেও চলমান অর্থবছর শেষে রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে দুই অংকের।


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নিয়মিতভাবে শিল্প উৎপাদনের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে প্রথম তিন মাসের পরিসংখ্যান। এতে দেখা যাচ্ছে, দেশের বৃহৎ এ শিল্প খাতের কারখানাগুলোয় জানুয়ারিতে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ছিল দুই অংকের ঘরে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পোশাক উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, অর্থমূল্যে যার পরিমাণ ৪২ হাজার ৮৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধির হার এক লাফে নেমে আসে তার অর্ধেকে। ২০২২ সালের একই মাসের চেয়ে কেবল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে গত ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ হাজার ৫১৪ কোটি ২০ লাখ টাকার পোশাক। মার্চে এসে পোশাক উৎপাদন কমেছে। প্রবৃদ্ধির হার ঋণাত্মক ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। বছরের এ তৃতীয় মাসে মোট পণ্য উৎপাদনের অর্থমূল্য ছিল ৩৪ হাজার ৯১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।


পোশাক উৎপাদনকারী শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারের চলমান পরিস্থিতিতে পণ্য রফতানি নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক—দুদিকেই বাংলাদেশকে বিদ্যমান প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে, যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে পোশাক উৎপাদনের অর্থমূল্যে। এখন দেশের অনেক বড় পোশাক কারখানাও উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করতে পারছে না। সব মিলিয়ে চলতি বছরের শুরুতে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হলেও মার্চে তা কমে গিয়ে ঋণাত্মক হয়েছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও