সফল হয়নি পাইপলাইনে তেল খালাস
মহেশখালী গভীর সমুদ্রে জাহাজ থেকে সরাসরি পাইপলাইন দিয়ে পরীক্ষামূলক জ্বালানি তেল খালাস কার্যক্রম সফল হয়নি।
গত সোমবার কার্যক্রম শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। তবে কী ধরনের ত্রুটি হয়েছে সেটি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) কর্মকর্তারা। ঘটনার পর থেকে ত্রুটির বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে আসছে সংস্থাটি। বাকি তেল খালাসের জন্য লাইটারেজ জাহাজ ডাকা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে ইআরএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান বলেন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পর সাত থেকে আট হাজার টন তেল পাইপলাইনে খালাস করা হয়েছিল। এরপর ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বাকি তেল আগের মতো লাইটারেজের মাধ্যমে খালাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনা প্রতিষ্ঠান পাইপলাইনে কী ত্রুটি হয়েছে সেটি নির্ণয় করে সারানোর জন্য কাজ করছে।
গত ২৪ জুন রাতে সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে এমটি হোরাই মহেশখালী গভীর সমুদ্রে পৌঁছায়। এর পরদিন জাহাজটি থেকে পরীক্ষামূলক পাইপলাইনে তেল খালাস কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। তবে ওইসময় বৈরি আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ৩ জুলাই সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) সঙ্গে সৌদি আরব থেকে আসা জাহাজের সংযোগ ঘটানো হয়। এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ নতুন দিগন্তে প্রবেশ করে বলেও দাবি করেছিলেন ইআরএল কর্মকর্তারা।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- গভীর সমুদ্র বন্দর
- তেল খালাস