কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে

প্রথম আলো রাফসান গালিব প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১৪:৩২

‘আজ যে শিশু


পৃথিবীর আলোয় এসেছে


আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই।’


১৯৯৫ সালে বিটিভিতে সম্ভবত ঈদের এক অনুষ্ঠানে রেনেসাঁ ব্যান্ডের সঙ্গে তাদের এ গান গেয়েছিলেন কলিম শরাফী, নীলুফার ইয়াসমিন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার মতো প্রথিতযশা শিল্পীরা। ছিলেন জনপ্রিয় আরও সংগীতশিল্পী। এ গানের স্রষ্টা ছিলেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। তার এক বছর আগে রেনেসাঁর তৃতীয় বিশ্ব অ্যালবামে এ গান রিলিজ হয়েছিল। তৃতীয় বিশ্বে জন্ম নেওয়া সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরির আকুতি প্রকাশ পেয়েছে গানটিতে। এমন আকুতি আমরা পাই ক্ষণজন্মা সুকান্ত ভট্টাচার্যের বিখ্যাত চরণে, ‘এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান।’


তবে নির্মম পরিহাসের মতো বলতে হয়, পৃথিবীতে আসতে না আসতেই এ দেশের শিশুদের গ্রাস করছে সমূহ নিরাপত্তাহীনতা। একটি শিশুর জন্য মায়ের কোলই সবচেয়ে বড় নিরাপত্তার চাদর—এই চিরসত্য নিয়েও আমাদের এখন সংশয় হতে হয়। একটি শিশুর আগমন মানেই একটি দম্পতির জন্য নতুন এক পৃথিবী দেখা। নতুন স্বপ্ন, নতুন গান। কিন্তু সেই পৃথিবী মুহূর্তেই অন্ধকার হয়ে যায়, সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, স্তব্ধ হয়ে যায় কণ্ঠ—যখন আমরা দেখি সড়কেই মায়ের পেট চিরে জন্ম নিতে বাধ্য হতে হয় কোনো শিশুকে।


গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নীলফামারী জেলা সদরের শিমুলতলী এলাকার ঘটনা। প্রসবব্যথা নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা শারমিন আখতার হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁকে বহনকারী অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয় একটি মাইক্রোবাস। অটোরিকশাকে টেনে অনেক দূরে নিয়ে যায় সেটি। এ সময় রিকশা থেকে সড়কে ছিটকে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা। সেখানেই একটি মেয়ে নবজাতকের জন্ম হয়। সেখানেই মারা যান মা–মেয়ে। এটিকে কি নিছক সড়ক দুর্ঘটনা বলা যায়? মাইক্রোবাসটির চালক দ্রুত গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করলে হয়তো মা–মেয়ের জীবন বেঁচে যেত। কিন্তু গাড়িচালক পালিয়ে যাবেন, পালিয়ে যাওয়ার আগে আহত মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করে যাবেন, এটিই যেন নিয়ম হয়ে গেছে এ দেশে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও