হজ-পরবর্তী জীবনে করণীয়
চলতি বছর ১৮ লাখের বেশি মানুষ পবিত্র হজ পালন করেছেন। তন্মধ্যে বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজারের মতো। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত হাজিরা হজপালন শেষে মক্কা থেকে নিজ নিজ দেশে ফেরা শুরু করেছেন। বাংলাদেশের হাজিরাও ঘরে ফিরছেন। হজপালন করে আসা হাজি সাহেবদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। দোয়া করি তাদের বরকতে সমাজ আলোকিত হোক।
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যে পাঁচটি বিষয়ের ওপর ইসলামের মূল ভিত্তি, তার পঞ্চমটি হজ। তবে হজের বিধানটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেননা, এটি মুসলমানের ওপর প্রতিদিন অথবা প্রতি বছর ফরজ হয় না; জীবনে মাত্র একবার ফরজ হয়।
হজপালন আল্লাহর প্রতি বান্দার অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। সম্পদশালী, সচ্ছল ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ ফরজ। বিপুল অর্থ ব্যয় করে মক্কার নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট আচার-আচরণ নির্দিষ্ট দিনে আদায় করতে হয়। হজের ফজিলত প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করল এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গোনাহ থেকে বিরত থাকল সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে, যেদিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। -সহিহ বোখারি : ১৫২১