বয়স ৩০ থাকতেই দাঁতের মর্ম বুঝুন
দাঁত নিয়ে একবার ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। দাঁতের অধিকাংশ সমস্যাই স্থায়ী। একবার সমস্যা দেখা দিলে তা থেকে দাঁত বাঁচানো কঠিন।
একবার সমস্যা দেখা দিলে তা থেকে দাঁত বাঁচানো কঠিন। তাই বয়স ৩০ পেরোলে দাঁতের সমস্যা কোনোভাবেই অবহেলা করা চলবে না। ব্যবস্থা নিতে হবে তৎক্ষণাৎ।
দাঁতের পোকা
দাঁতে পোকা বলে কিছু হয় না। দাঁতের ক্যাভিটির দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা না হলে দাঁতের ব্যথা শুরু হয়। চলতি কথায় একেই দাঁতের পোকা বলে। ক্যাভিটি হলো দাঁতের ছিদ্র। দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে এ সমস্যা বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ে সমস্যা। দাঁতের গোড়া পর্যন্ত চলে গেলে ব্যথা হয়। ক্যাভিটির মধ্যে খাবারের কুচি ঢুকে যায় অনেক সময়ে। সেই খাবার পচে গিয়ে দাঁতের ক্ষতি হয়। তাই দিনে দুইবার অবশ্যই দাঁত মাজতে হবে।
ফিলিং
দাঁতের মধ্যে তৈরি হওয়া এই ছিদ্র ছোট হলে ফিলিংয়ের মাধ্যমে সহজেই বন্ধ করা যেতে পারে সমস্যা। ফিলিং খাবার ঢোকা আটকায়। ফিলিংয়ের মাধ্যমে ক্যাভিটিকে আর বাড়তে না দিয়ে সেই জায়গাটিকে ভরাট করে দেওয়া হয়।
দাঁত তোলার পর সেখানে নতুন দাঁত বসানো যায় কী?
দাঁত তুলে সেই জায়গায় মূলত তিনভাবে নকল দাঁত বসানো যায়। প্রথমত অস্থায়ী নকল দাঁত লাগানো যেতে পারে। এই দাঁত ইচ্ছে মতো খুলে ফেলা যায়। কিন্তু ত্রিশেই এ ধরনের দাঁত লাগানো একটু ঝক্কির। চাইলে স্থায়ী নকল দাঁতও লাগানো যায়, যা একবার লাগিয়ে দিলে আর খোলার দরকার হয় না। এছাড়া ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে নতুন তৈরি করা দাঁত বসানো যায়। তবে কোনটি আপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত, তা বলতে পারবেন দন্ত্য চিকিৎসকই।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- দাঁতের যত্ন
- দাঁতের সমস্যা