৪৭ লাখ শিশু শ্রমিক: ঘোষণা ও বাস্তবতা
গত ১২ জুন ছিল বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। ২০০২ সালে দিবসটি পালন শুরু করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। এ বছর দিবসটির বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য– ‘সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার: শিশুশ্রমের অবসান ঘটান!’ গত বছরও প্রায় একই প্রতিপাদ্য ‘সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি’ নিয়ে দিবসটি পালিত হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে শিশুশ্রম বন্ধ দূরের কথা; ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধের সরকারি ঘোষণা প্রায় কেতাবেই রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এ ‘শিশু’ বলতে ১৪ বছর বয়স পূর্ণ করেনি এমন মানুষকে বোঝায়। ১৪ থেকে ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের ‘কিশোর’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০ অনুসারে, শিশুদের আনুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্র কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ক্ষেত্রবিশেষ চিকিৎসকের কাছ থেকে শিশু-কিশোরদের সক্ষমতা সনদ নিয়ে শর্তসাপেক্ষে হালকা কাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না, কত সংখ্যক শিশু-কিশোর বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত। ফলে এ সংক্রান্ত নীতি বা আইন যে কেতাবেই রয়ে গেল, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই।
- ট্যাগ:
- মতামত
- শিশু শ্রমিক