ছয় দফার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালির ওপর পাকিস্তানি শাসকশ্রেণির শোষণ বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্য আরও বেড়ে যায়। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলাকে সবভাবে শোষণ করা শুরু করে। প্রথম আঘাত করে ভাষার ওপর, রক্ত দিয়ে বাঙালি মাতৃভাষার মর্যাদা অর্জন করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ববঙ্গে নানাভাবে অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে যায়, মার্শাল ’ল জারি করে জনগণের অধিকার হরণ করে। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয়, যা চলে ১৭ দিন ধরে। এই যুদ্ধ চলাকালে পূর্ব বাংলা ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত।
যুদ্ধের পরিস্থিতি পূর্ববঙ্গে বাঙালির নিরাপত্তাহীনতাকে আরও প্রকট করে। ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি তাসখন্দ চুক্তি হয়, এ চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানজুড়ে সমালোচনা হয় যে সামরিক শাসক আইয়ুব খান চুক্তিতে পাকিস্তানের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে। সে সময় পাকিস্তানজুড়ে আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো তাসখন্দ চুক্তিসহ সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে পাকিস্তানের উভয় অংশের বিরোধী নেতৃত্বের একটি জাতীয় সম্মেলন বা কনভেনশন আহ্বান করে, যেখানে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কয়েকজন পূর্ব পাকিস্তান থেকে লাহোরে যান। এ সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে ২১ জন এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ৬০০ জন প্রতিনিধি যোগদান করেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- স্বাধীনতা
- ছয় দফা
- শেখ মুজিবুর রহমান