প্রবাসীদের কল্যাণে ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড’
১৯৭৬ সাল। বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি শুরুর বছর। তারপর থেকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইকোনোমিক টাইগার’ খ্যাত বিশাল জনসম্পদের এ দেশটিকে। সবুজে কভারে মোড়া পাসপোর্টধারীরা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের ১৭৬টি দেশে। প্রায় ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দারিদ্র্য বিমোচন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনীতির চাকা ঈর্ষণীয়ভাবে সচল রাখতে ভূমিকা এককথায় অসাধারণ।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, রেমিট্যান্স আয়ের প্রায় ৬৩ শতাংশ ব্যয় হয় দৈনন্দিন খরচের খাতে। রেমিট্যান্স পাওয়ার পরে একটি পরিবারের আয় আগের তুলনায় ৮২ শতাংশ বাড়ে। তাছাড়া প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের অধিকাংশ গ্রামে বসবাস করেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয় ও সঞ্চয় বেড়ে যায়। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি আসে।
প্রবাসী কর্মীদের এ অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করে তৎকালীন সরকার ইমিগ্র্যাশন অর্ডিন্যাস-১৯৮২-এর ১৯(১) ধারার ক্ষমতাবলে ১৯৯০ সালে ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল’ গঠন করে। ফলে ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০১৮’ এর মাধ্যমে ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড’ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- রেমিটেন্স
- প্রবাসী
- ওয়েজবোর্ড
- বিশ্ব ব্যাংক