আমলার চোখে প্রথম পরিকল্পনা কমিশন

দেশ রূপান্তর ড. এম এ মোমেন প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৩, ১১:২৮

শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরে ১৯৫৬ সালের মেধাতালিকার প্রথম সিএসপি কাজী ফজলুর রহমানের সত্তরের প্রথমার্ধের ডায়েরি ২০০৩ সালে গ্রন্থাকারে ‘আশা ও ভগ্ন আশার দিনগুলো’ নামে মুদ্রিত হয়। তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব করা হতে পারে এমন কথাও উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত হয়নি। ১৯৫৬ ব্যাচের ১০ জন বাঙালি হচ্ছেন : কাজী ফজলুর রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আবুল মাল আবদুল মুহিত, এ কে এম গোলাম রব্বানী, এ বি এম গোলাম মোস্তফা, এ এস এইচ কে সাদিক, এমকে আনোয়ার, মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, কে জি এম লতিফুল বারী, আনিসুজ্জামান। লেখাটির এই অংশে গ্রন্থ থেকে পরিকল্পনা কমিশন প্রাসঙ্গিক তার কিছু নোট তুলে ধরছি । একজন জ্যেষ্ঠ আমলা প্রথম পরিকল্পনা কমিশনকে কীভাবে দেখেছেন তা এতে প্রতিভাত:


১৫ জানুয়ারি ১৯৭২ : শুনেছিলাম আবুল এহসান সাহেবকে প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু হলো না তারও। অর্থনীতিবিদ ড. নুরুল ইসলাম গেছেন সেই পদে।


১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ : (প্ল্যানিং মিনিস্ট্রির সচিব করা হতে পারে এ কথা শোনার পর) প্ল্যানিং সচিব হিসেবে নিয়োগে আমার অনীহাই আছে। কমিশনে ভাইস চেয়ারম্যান আর সদস্যরা সবাই একেবারে হঠাৎ মন্ত্রী। এতজন বসকে নিয়ে কাজ করা কঠিন হবে। তার চেয়ে এই পদটাই ভালো ছিল। (এই পদটা মানে প্রেসিডেন্টের সচিব। প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ চৌধুরী তাকে চেয়েছেন, কিন্তু তাও হয়নি)


২১ জানুয়ারি ১৯৭২ : সকালে সেক্রেটারিয়েটে গিয়েছিলাম। প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানের রুমটা সামনেই পড়ল। ঢুকে পড়লাম। একটু পরেই মোশাররফ (প্রফেসর মোশাররফ হোসেন, সদস্য) এলো। একেবারে জড়িয়ে ধরল। সত্যিই আমার সঙ্গে দেখা হওয়াতে সে আন্তরিকভাবেই খুশি। অন্য কোনো কথা হলো না! আজ ভিপি ধরের নেতৃত্বে একটা ভারতীয় মিশন এসেছে, তাদের সঙ্গে মিটিং। সবাই ব্যস্ত।


২২ জানুয়ারি ১৯৭২ : (ভারতীয় বাণিজ্য মিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ডিনারের আয়োজন করেছিলেন, তিনিও আমন্ত্রিত ছিলেন।)


না গেলেই বোধ হয় ভালো ছিল। (পরিকল্পনা) কমিশন সদস্য ড. মোশাররফ জানতে চাইলেন, সরকারি চাকরি করার ইচ্ছে আছে? জবাব দিলাম, ‘আপনারা নিলে তো?’ বললেন ‘কমিশনের সবারই ইচ্ছে ছিল তোমাকে প্ল্যানিং সেক্রেটারি হিসেবে (পাওয়া)। কথাটা শেখ সাহেবের কাছে পাড়াও হয়েছিল। তিনি নাকি বলেছেন হ্যাঁ ছেলেটা ভালোই ছিল। তবে জব্বার খানের ছেলে সাদেকের (খান) প্রভাবে আর ঠিক নাই। দেখা যাক।


অর্থাৎ সোজা অর্থে নাকচ করে দিয়েছেন। শেখ সাহেব ব্যক্তিগতভাবে আমাকে চেনেন না। নিঃসন্দেহে আমারই কোনো ‘বন্ধু’ তার কান ভারী করেছে।


মোশাররফ কথায় কথায় বলল, তাদের চেয়ারের মর্যাদা হয়েছে ছোট মন্ত্রী অর্থাৎ স্টেট মিনিস্টারের। কমিশনের থাকবে দশটা ডিভিশন, প্রতিটির প্রধান হবেন সচিব মর্যাদার। পাগলামো ছাড়া আর কী বলা যায়!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও