ভবন নির্মাণে রাজউককে মানছে না সরকারি সংস্থা
রাজধানীর নীলক্ষেতে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজসংলগ্ন রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে তিনতলাবিশিষ্ট বিশাল এক ভবন। ‘তুলা মার্কেট’ নামে পরিচিত ওই ভবনটি নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। সিটি করপোরেশনের জমিতে নির্মিত বলে রাজউকও অবৈধ ভবনটি নিয়ে ঘাঁটাতে যায়নি। কারণ, শুধু সিটি করপোরেশন নয়, সরকারি অনেক সংস্থাই এখন ইমারত নির্মাণে রাজউকের কাছ থেকে ভবনের নকশা অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। যে যার মতো চূড়ান্ত করছে ভবনের নকশা। এতে ঢাকায় সরকারি ইমারত নির্মাণে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা।
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশা অনুমোদনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান রাজউক। টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট-১৯৫৩, বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট-১৯৫২ ও ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা-২০০৮ অনুসারে রাজউককে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। রাজউকের আওতাধীন এলাকার মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন যেমন আছে, তেমনি রয়েছে উত্তরে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, দক্ষিণে কেরানীগঞ্জ উপজেলার অংশবিশেষসহ ধলেশ্বরী নদী, পূর্বে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদী এবং সোনারগাঁ উপজেলার অংশবিশেষ, পশ্চিমে বংশী নদী। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, কদমরসুল, সিদ্ধিরগঞ্জ, তারাব, সাভার, টঙ্গী ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা রাজউকের আওতাভুক্ত।
আইন অনুযায়ী, এসব এলাকায় ইমারত নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন নেওয়ার কথা থাকলেও তা নিচ্ছে না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় রাজধানীতে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে তৎপরতা চালিয়ে রাজউক ২০৭টি সরকারি ভবন শনাক্ত করেছে, যেগুলোর নকশায় তাদের অনুমোদন ছিল না। এসব ভবন নির্মাণেও নানা ধরনের অনিয়ম পেয়েছে সংস্থাটি।