স্বল্প সুদের বিদেশি ঋণ কমছে, ভবিষ্যতের ভরসা ‘বাজারভিত্তিক’ সুদ
কম সুদহারের বিদেশি ঋণ এখনই মিলছে কম, সামনে দিনে তা আরও কমে বাজারভিত্তিক হওয়ার পথে এগুচ্ছে; এমন প্রেক্ষাপটে ঋণের ‘সদ্ব্যবহার’ করে সর্বোচ্চ লাভ পেতে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ এসেছে অর্থনীতির এক বিশ্লেষকের কাছ থেকে।
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের সংস্থান ও পরিশোধসহ সার্বিক বিষয়গুলো দেখভালকারী সংস্থা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিদেশি ঋণের ৬৭ শতাংশই ছিল সবচেয়ে কম সুদের, যা নমনীয় ঋণ হিসেবে পরিচিত। চার বছরের মাথায় এমন ঋণ কমে ৫৯ শতাংশে নেমেছে।
অপরদিকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উৎস থেকে বাংলাদেশের নেওয়া বিদেশি ঋণের মধ্যে ১৭ শতাংশ ছিল তুলনামূলক বেশি সুদের, যা বাজারভিত্তিক বা ফ্লোটিং ভিত্তিতে সুদহার ঠিক করা হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত এমন ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৩ শতাংশে।
এমন প্রবণতার মধ্যে বৈদেশিক অর্থায়নের ধরন, সাম্প্রতিক ও সম্ভাব্য ঋণ গ্রহণ ও চুক্তি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তৈরি ইআরডি এর এক প্রতিবেদন বলছে, দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নের ছোঁয়ার প্রভাব পর্যায়ক্রমে দৃশমান হচ্ছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিবেচনার সূচকগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হচ্ছে, স্ট্যাটাস বদলাচ্ছে। ঋণের সুদহার নির্ধারণে তা ভূমিকা রাখছে। এতে কম সুদের বদলে উচ্চ সুদহারের ঋণের পথে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এক্ষেত্রে সুদহার বেশি গুনতে হলেও অনেক খাতে ঋণ নেওয়ার বিশেষ দরজা খুলে দেবে। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, নমনীয় সুদহারের বদলে আইডিএ ব্লেন্ড হিসেবে পরিচিত মিশ্র ঋণ সুবিধার অধীনে বিশ্ব ব্যাংকের আইবিআরডি এর ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- স্বল্প সুদ
- বিদেশি ঋণ