আওয়ামী লীগের সামনে ভোট ও বিএনপির আন্দোলন
দুই দিক সামলাতে জটিলতা
বিএনপি যেখানেই কর্মসূচি পালন করবে, এর পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকতেই হবে—এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। সিটি করপোরেশনে জয় যেমন দরকার, তেমনি বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ দখলে নেওয়ার সুযোগও দেওয়া যাবে না। কিন্তু সিটি নির্বাচনে দলীয় অংশগ্রহণ নেই বলে বিএনপি আন্দোলনের কর্মসূচি জোরদার করার সুযোগ পাচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগকে দুটি একসঙ্গে সামলাতে হচ্ছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে, এই বিবেচনায় মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা নির্বাচনের প্রচারে যেতে পারছেন না। ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে যাঁরা সংসদ সদস্য নন, তাঁরাই নির্বাচনী প্রচারে বেশি যাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা সমাবেশগুলোতে মন্ত্রী-সংসদ সদস্য নন—এমন নেতাদের উপস্থিতিই বেশি ছিল। এই পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার ও বিরোধী দলের পাল্টা সমাবেশ সফল করতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের।
সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগরসহ জেলায় জেলায় টানা কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, রোজার আগে বিএনপি ঢাকার বাইরে যে কর্মসূচিগুলো নিয়েছিল, এর পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগও কর্মসূচি পালন করে। শুরুতে কয়েকটি কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাগ করে পাঠানো হয়। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি কমে যায়। এখন সিটি নির্বাচনের প্রচারের সময় কেন্দ্রীয় নেতারা আরও কম যেতে পারবেন। ফলে এটা কিছুটা অসুবিধার সৃষ্টি করবে।