প্রবালপ্রাচীর রক্ষা করতে যেভাবে কাজ করবে রোবট

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩, ১৫:৩৭

প্রবালের কথা মনে হলেই চোখের সামনে হরেক রঙের বৈচিত্র্যময় এক অবয়ব ফুটে ওঠে। এ যেন সমুদ্রের নিচে এক বিস্ময়কর জগৎ! তবে প্রবাল শুধু যে দেখতেই সুন্দর, তা নয়। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে এর অবদানও অসামান্য। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সমুদ্রের ২৫ শতাংশ প্রজাতি প্রবালপ্রাচীরের মধ্যে বা এর আশপাশে বাস করে। ফলে সমুদ্রের নিচে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় আবাসস্থলের মধ্যে একটি হচ্ছে প্রবালপ্রাচীর। সামুদ্রিক জীব ছাড়াও প্রবালপ্রাচীর লাখো মানুষের খাদ্য এবং জীবিকার উৎস। শুধু তা–ই নয়, প্রবালপ্রাচীর সমুদ্রের দুর্যোগপূর্ণ ঢেউ এবং বন্যার ক্ষতি থেকে উপকূলকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রক্ষা করে।


বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং সমুদ্রের লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রবালপ্রাচীর। আর তাই দীর্ঘদিন থেকেই প্রবালপ্রাচীর রক্ষা করতে কাজ করছেন জীববিজ্ঞানীরা। প্রবাল পলিপ সংগ্রহ করে কৃত্রিম উপায়ে প্রবালপ্রাচীরের বংশবিস্তারের পাশাপাশি তাপরোধী প্রজাতির প্রবাল উদ্ভাবনেও কাজ করছেন তাঁরা।। শুধু তা–ই নয়, বিভিন্ন রোগ থেকে প্রবালপ্রাচীরকে রক্ষা করতে বিভিন্ন ধরনের প্রবায়োটিক নিয়েও পরীক্ষা চালাচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই প্রবালপ্রচীরের ক্ষতি ঠেকানো যাচ্ছে না।


অস্ট্রেলিয়ার জীববিজ্ঞানী টেরিন ফস্টার অস্ট্রেলিয়ার উপকূলবর্তী মৃতপ্রায় প্রবালপ্রাচীরগুলো নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন বহু বছর ধরে। ফস্টারের মতে, স্বাস্থ্যকর এবং উন্নতমানের প্রবাল পলিপ দিয়ে প্রবালপ্রাচীর প্রতিস্থাপন করা হলেও এদের স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্র ফিরে আসবে না। কারণ, ছোট প্রবাল পলিপ প্রবালপ্রাচীরের দেয়ালে অনেকটা ইটের মতো কাজ করে। সুস্থ সামুদ্রিক পরিবেশে পলিপ সমুদ্রের পানি থেকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট সংগ্রহ করে প্রবাল কঙ্কাল গঠন করে। আর প্রবাল পলিপে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে কঙ্কালের ওপর বিশাল প্রবাল তৈরি হয়।


কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তন, দূষণ প্রভৃতি কারণে বায়ুমণ্ডলে ধীরে ধীরে কার্বন ডাই–অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় পলিপের পক্ষে কঙ্কাল গঠন সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি পূর্বে বানানো কঙ্কালগুলো লবণাক্ত পানিতে গলে যাচ্ছে। শুধু তা–ই না, পানির লবণাক্ততা প্রবালপ্রাচীরের বৃদ্ধিও বাধাপ্রাপ্ত করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও