কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ডলারের একাধিপত্যের দিন শেষ?

সমকাল ড. মঞ্জুরে খোদা প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩, ০২:৩১

হালে বিশ্বজুড়ে একটি নতুন ধারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে– ‘ডি-ডলারাইজেশন’। এর অর্থ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, অর্থ ও ব্যাংকিং লেনদেনে ডলারের ক্রমহ্রাসমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সংরক্ষণ ও ব্যবহারের ব্যবস্থা করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক লেনদেনে স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহারের বন্দোবস্ত করে। এই ব্যবস্থায় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু ডলার নয়; বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য অন্যান্য দেশের মুদ্রাও সংরক্ষণ করবে। বর্তমানে অনেক দেশ রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ইউএস ডলারের বিপরীতে তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহার করছে ও করার প্রক্রিয়ায় আছে।


অনেকেই জানেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হচ্ছে কোনো একটি দেশের হাতে থাকা বিদেশি মুদ্রাকে বোঝায়, যা সাধারণত রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত হয়ে থাকে। ধরা যাক বাংলাদেশের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে। তার মানে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ এই মুদ্রা বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্জন করেছে। যে দেশের পণ্য-সম্পদ রপ্তানির পরিমাণ যত বেশি তাদের বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণও তত বেশি। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখতে হয় আমদানির জন্য।


কেন ডি-ডলারাইজেশন


মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এতদিনে ডলারের মাধ্যমেই প্রায় সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি নির্ভর করত। কিন্তু রাশিয়ার ইউক্রেনে অভিযানের পর বিশ্ব-অর্থনীতির অনেক কিছুই যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।  অতিরিক্ত ডলার ছাপানো ও সুদের হার বৃদ্ধিতে ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো আমদানি বাণিজ্যের জন্য অধিক অর্থ খরচ করতে গিয়েও মূল্যস্ফীতি তৈরি হচ্ছে। সর্বোপরি মার্কিন ও পশ্চিমা শক্তির রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক বাণিজ্যিক অবরোধ ও তাদের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আটকে দেওয়ায় এই সংকট আরও জটিল হয়। বিশ্ববাণিজ্যে ডলারের একাধিপত্য থাকায় রাশিয়ার অভিজ্ঞতার পর প্রায় সব দেশ শঙ্কিত হয়ে পড়ে। এতে বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় ডলার বাদ দিয়ে তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহারে তৎপর হয়। 


ডি-ডলারাইজেশন সম্প্রতি কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা দ্য ক্রেডিল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায়। ২০০১ সালে বৈশ্বিক রিজার্ভে ডলারের অংশ ছিল ৭৩ শতাংশ। ২০২১ সালে তা ৫৫ শতাংশে নেমেছে এবং ২০২২ সালে হয়েছে ৪৭ শতাংশ। গত বছর ডলারের চাহিদা গত দুই দশকের গড় থেকে ১০ গুণ দ্রুত কমেছে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক লেনদেনে ডলারের অংশ ৩০ শতাংশে নেমে আসা অবিশ্বাস্য কিছু নয়।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও