গরমে শিশুর যত্ন
প্রচণ্ড গরমে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। যেমন ডায়রিয়া হলে দ্রুত পানিশূন্যতা হওয়া, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, অতিরিক্ত ঘাম থেকে সর্দি–কাশি, জ্বর, খাবারে অনীহা ইত্যাদি। এ সময় হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়সী ডায়রিয়ার রোগীর আধিক্য দেখা যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের চেয়ে শিশুদের দ্রুত পানিশূন্যতার প্রধান কারণ হলো:
● ডায়রিয়া হলে পাতলা পায়খানা ও বমির সঙ্গে ওজন সাপেক্ষে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় শিশুদের বেশি লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়।
● শিশুদের বিপাক প্রক্রিয়ার হার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। অতিরিক্ত তাপ বের হওয়ার সময় ত্বক থেকে বেশি বেশি পানি জলীয় বাষ্প আকারে বেরিয়ে যায়।
● ছোট শিশুরা পিপাসা পূরণের জন্য বড়দের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল।
কীভাবে বুঝবেন
পানিশূন্যতা হলে অস্থিরতা, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া, কান্না করলে চোখে পানি না আসা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব হওয়া। পিপাসা বেড়ে যায়। চোখ দেবে যায় ও শুষ্ক ত্বক দেখা যায়। অতিরিক্ত ঘামা বা একেবারেই ঘাম না হওয়া খারাপ লক্ষণ। প্রস্রাব কমে যায়। শ্বাসের গতি ও নাড়ির গতি বেড়ে যাওয়া, পেশির ব্যথা, খিঁচুনি হতে পারে।
অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়ে শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারে, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে।
সচেতনতা
● ৬ মাসের কম বয়সের শিশুদের বারবার বুকের দুধ খাওয়ান। ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুদের বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি পানি ও তরল খাবার দিন।
● পাতলা পায়খানা হলে বারবার স্যালাইন খেতে দিন।
● গরমে শিশুর পরিধেয় পোশাক হতে হবে আরামদায়ক, হালকা ঢিলেঢালা ও সুতি কাপড়ের। রোদে বেশিক্ষণ খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা উচিত।
● শিশুর নাগালের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানীয় রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, শিশু যেন পরিমিত পানি পান করে।
● শিশু নিজ থেকে পানিশূন্যতা বুঝতে পারে না এবং পানি খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে লেবু বা কমলার শরবতসহ ঘরে তৈরি সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার দিন।