যে ৭ খাদ্যাভ্যাসে শরীরের ক্ষয় হয়
প্রচলিত খাদ্যাভ্যাস থেকে শরীরের ক্ষতি হলেও সে বিষয়ে খেয়াল হয়ত অনেকেরই নেই।
আঁশ সমৃদ্ধ খাবার হজমে সহায়তা করে। ওমেগা-থ্রি নির্ভর মাছ খাওয়া হৃদ-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। তবে দৈনিক খাদ্য তালিকায় আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখরোচক খাবারের দিকে নজর দেই।
আবার অনেক সময় বেশি খেয়ে ফেলি। কিংবা দেরি করে খাই। এই ধরনের অভ্যাসগুলো দেহে বাজে প্রভাব ফেলে।
ইটদিসনটদ্যট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক'য়ের পুষ্টিবিদ মেলিসা রিফকিন বলেন, “কোনো একটি খাদ্যাভ্যাস সঠিক হতে পারে না। আবার মাঝে মধ্যে যেসব খাবার খাওয়া উচিত সেগুলো প্রতিদিন খাওয়া ঠিক না। যেমন- ক্যান্ডি, মিষ্টান্ন, ভাজা খাবার, মিষ্টি পানীয় ইত্যাদি।”
ফল ও সবজি বেশি খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানো – শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কীভাবে খাচ্ছেন, কখন খাওয়া হচ্ছে- এই ধরনের বিষয়গুলো দেহের ওপর প্রভাব রাখে।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া
চিনি দুই রকমের। একটা হল প্রাকৃতিক যা ফল ও দুগ্ধজাত খাবার থেকে আসে। আরেকটি হল খাবারে চিনি যুক্ত করা; যা মিষ্টি স্বাদ বাড়ায়।
এরকম খাবারের মধ্যে রয়েছে কোমল পানীয় ও চিনি যুক্ত শরবত বা জুস। এগুলো ওজন বাড়াতে, টাইপ টু ডায়াবেটিস, হৃদসংক্রান্ত রোগ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যান্সার তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
‘দি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’ সুপারিশ করে, পুরুষের দৈনিক ৩৬ গ্রামের কম মিষ্টি করা উচিত; অন্যদিকে নারীদের উচিত ২৫ গ্রামের কম গ্রহণ করা।
এর অতিরিক্ত হলে খাদ্যাভ্যাস থেকে চিনি গ্রহণের পরিমাণ কমাতে হবে।
একেবারে বেশি খাওয়া
পেট ব্যথা বা ফোলাভাব, গ্যাস হওয়া- এসবের কারণ হতে পারে বেশি খাওয়া। তাছাড়া বিভিন্ন খাবারও এই ধরনের সমস্যা তৈরি করে।
একবারে বেশি খাওয়া পাশাপাশি সারাদিনে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ক্যালরি গ্রহণ বেশি হয়। দেখা দেয় স্থূলতা।
এই সমস্যা সমাধানের উপায় হল, দ্রুত না খেয়ে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় নিয়ে ধীরে সুস্থ্যে খাওয়া। এরফলে মস্তিষ্কে পেটভরা অনুভূতি পৌঁছাবে সঠিক সময়ে, ফলে খাওয়া হবে পরিমিতি।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- শক্তি ক্ষয়
- খাদ্যাভাস