কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমার আসবাব হোক অন্যের চেয়ে আলাদা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৩

নাবিলা নওরিন একজন উদ্যোক্তা। অন্যের বাসার অন্দরসজ্জা করতে গিয়ে এই স্থপতি দেখলেন, ক্রেতারা একটু ব্যতিক্রমী আসবাবের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কখনো আসবাবের নকশায়, কখনো রঙে, কখনো আসবাবের উপকরণে নতুনত্ব খুঁজছেন মানুষ। এ নতুন ধরনের চাহিদা দেখে আসবাব নিয়ে নিজেই  কাজ শুরু করলেন নওরিন। গড়ে তুললেন আসবাব তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘বহু’। যেখানে আসবাবে শুধু নকশাই নয়, মাল্টিফাংশনাল (একই আসবাবের বহুবিধ ব্যবহার) বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে বেশ। এই যেমন বসার ঘরের টেবিলের নিচের অংশে থাকছে পেপার রাখার ব্যবস্থা। একইভাবে পড়ার টেবিলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ক্যাবিনেট।


আগে কাঠের জমকালো নকশার বিশালাকৃতির দোলনা কেবল অভিজাত অন্দরসজ্জায় দেখা যেত। সেখানে এখন পাটাতনের আদলে কাঠের তৈরি হালকা নকশার দোলনার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। সোফার বিকল্প হিসেবে অনেকেই এখন এ ধরনের দোলনা ব্যবহার করছেন। এভাবে ড্রেসিং টেবিলের বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে দেয়ালে বসানো আয়না। কখনো স্টিলের ট্রাঙ্ক বসার ঘরে টি টেবিল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হাতে আঁকা চিত্র দিয়ে ট্রাঙ্কেও আনা হচ্ছে নতুনত্ব।


হাতে আঁকা নকশার কথাই যখন এল, তখন বলি, আসবাবেও রংতুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে রিকশাচিত্র। আসবাবে রিকশা পেইন্টিংয়ের এ ব্যবহার জনপ্রিয় করে ফ্যাশন হাউস ‘যাত্রা’। প্রথম দিকে আয়না, জলচৌকির মতো ছোট ছোট আসবাব নিয়ে কাজ শুরু করে তারা। ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় আলমারি, ডাইনিং টেবিল, এমনকি খাটেও তুলে ধরা হয় রিকশাচিত্র। রিকশাচিত্রের পাশাপাশি আসবাবে যাত্রা আরও যুক্ত করেছে পটশিল্পের কাজ। যাত্রা ছাড়াও এখন অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে এ পেইন্টিং আসবাব নিয়ে কাজ করে। আসবাবে পেইন্টিং নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে একজন রাজিব কাজি। রাফি আর্ট গ্যালারি নামে অনলাইনে আসবাব পেইন্টিং নিয়ে কাজ করেন তিনি। তাঁর আসবাবে ফোক ধারার আঁকা প্রাধান্য পায়।


সঙ্গে পেইন্টিংয়ের পাশাপাশি আসবাবে বাড়ছে ন্যাচারাল উড কালারের ব্যবহার। বাড়ছে সাদা রঙের আসবাবের জনপ্রিয়তাও। সব মিলিয়ে আসবাবে এত বৈচিত্র্য গত দুই দশকে খুব কম দেখা গেছে।


আসবাব তৈরির প্রতিষ্ঠান হাতিলের পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, গত ১০ বছরে আসবাবশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আগে আসবাব তৈরির সময় ভাবা হতো যেন দীর্ঘদিন তা টিকে থাকে। সেই টিকে থাকার সময় ৫০ বছর পর্যন্ত ধরে নেওয়া হতো। এখন মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অনেক সচ্ছল। পাশাপাশি শৌখিনও। মানুষ এখন দীর্ঘস্থায়িত্বের চেয়ে নতুনত্ব চান বেশি। যে কারণে আসবাবে যুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন নকশা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও