কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দুর্নীতি দমনে পর্যাপ্ত আইনি ক্ষমতা চায় দুদক

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০

দুর্নীতি দমনে পর্যাপ্ত আইনি ক্ষমতায় চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে অনুসন্ধান ও তদন্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতেও কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকারের এই সংস্থাটি। এসবের মধ্যে রয়েছে সার্ভিলেন্স, কমিউনিকেশন্স ইন্টারসেপশন ও আন্ডারকভার অপারেশন পরিচালনার নীতিমালা তৈরি করে বিশেষায়িত লোকবল নিয়োগের বিষয়। প্রো-অ্যাকটিভ অনুসন্ধানের উদ্যোগের বিষয়টিও রয়েছে পরিকল্পনায়।


দুদক কর্মকর্তারা জানান, বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থসম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে— সংশ্লিষ্ট দেশে আইনি সহায়তা। এজন্য প্রাথমিকভাবে তথ্য ও ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ এবং পরবর্তী সময়ে সমস্যা মিউচুয়্যাল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স রিকোয়েস্টের (এমএলএআর )মাধ্যমে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হয়। এ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করার জন্য দুদক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডেডিকেটেড জনবল গড়ে ওঠেনি। একইসঙ্গে অর্থ-সম্পদ পাচার সংক্রান্ত তদন্ত পরিচালনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সেজন্য দুর্নীতি দমন কমিশন এবং এর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানের কোনও বিকল্প নাই।


সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদনে এলক্ষ্যে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অর্থ-সম্পদ পাচার রোধ এবং পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দুদককে অগ্রণী ভূমিকায় দেখতে চাইলে দুদককে পর্যাপ্ত আইনি ক্ষমতা দিতে হবে। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে তথ্য ও ইন্টেলিজেন্স প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে একই উদ্দেশ্যে সমঝোতা স্মারক সই এবং সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি সইয়ের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। বিদেশ থেকে সম্পদ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বেগবান করতে হলে দুদক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডেডিকেটেড জনবল নিয়োগ করে তাদেরকে দেশে-বিদেশে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক আইন বিষয়েও কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।


নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে দুদকের পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স  (এফএটিএফ) এবং এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অব মানিলন্ডারিং (এপিজি) সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা ও মিউচুয়্যাল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্ট রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানোর বিষয়টি। এছাড়া বিদেশি এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় এবং ন্যাশনাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট প্রণয়ন সংক্রান্ত কাজের জন্য মানিলন্ডারিং অনুবিভাগে পৃথক ডেস্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায় দুদক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও