রানি ভিক্টোরিয়াও ছিলেন এই রোগের বাহক, জেনে নিন উপসর্গগুলো

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৫

হিমোফিলিয়া একধরনের রক্তরোগ। রক্তে ফ্যাক্টর এইট এবং ফ্যাক্টর নাইনের অভাবেই মূলত এ রোগ হয়ে থাকে। আর এই ফ্যাক্টর এইট এবং ফ্যাক্টর নাইন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে এই ফ্যাক্টর থাকে না, তাদের শরীরে দেরিতে রক্ত জমাট বাঁধে বা কখনো রক্ত জমাট বাঁধে না। এ কারণে রক্তপাতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

হিমোফিলিয়া রোগের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি একটি ‘এক্স ক্রোমোজম লিংকড ডিজঅর্ডার’। মানে, এ রোগের বাহক নারী, কিন্তু নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হন না। নারীরা এ রোগ বংশানুক্রমিকভাবে পুরুষদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। তখন পুরুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হন। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া (১৮১৯-১৯০১) ছিলেন হিমোফিলিয়ার বাহক। তাঁর সন্তান প্রিন্স লিওপোল্ডের মৃত্যু হয় রক্তপাতে।


উপসর্গ কী


রক্তপাতজনিত সমস্যাই এ রোগের মূল উপসর্গ। যেমন সদ্যোজাত নবজাতকের নাড়ি কাটার পর রক্ত বন্ধ হতে দেরি হওয়া। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে হামাগুড়ি বা হাঁটা শেখার সময় যেকোনো অস্থিসন্ধি বিশেষত হাঁটু ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা। কাটাছেঁড়া বা টিকা দেওয়ার স্থানে রক্তপাত বন্ধ না হওয়া। খতনা করার পর বা দাঁত তোলার পর রক্তপাত বন্ধ না হওয়া।


সাধারণত এ রোগে হাঁটু ও কনুইয়ের অস্থিসন্ধি বেশি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া মাংসপেশি, মুখগহ্বর, মাথার খুলি, পেটেও রক্তপাত হতে পারে।


অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে রক্তশূন্যতা ও অস্থিসন্ধির ক্ষয়, ব্যথা কিংবা মৃত্যু হতে পারে।


এ–জাতীয় উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তের ফ্যাক্টরের পরিমাণ নির্ধারণ করে রোগনির্ণয় করতে হবে।


চিকিৎসা


হিমোফিলিয়ার কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই। রক্তপাত শুরু হলে শিরাপথে ফ্যাক্টর ইনজেকশনের মাধ্যমেই মূল চিকিৎসা করা হয়। এ ছাড়া অনেক সময় ফ্যাক্টর না পাওয়া গেলে ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা, ফ্রেশ ব্লাড, ট্রানেকজামিক অ্যাসিড দিয়ে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। অস্থিসন্ধি ফুলে গেলে বা ব্যথা হলে ফিজিওথেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়।


থাকতে হবে সতর্ক


হিমোফিলিয়ায় সতর্কতাই মূল অস্ত্র। শরীরে আঘাত লাগতে পারে, এমন কোনো কাজে অংশগ্রহণ না করা (যেমন ফুটবল, দৌড়াদৌড়ি, স্পোর্টস মোটরসাইকেল চালনা), মাংসপেশিতে ইনজেকশন না নেওয়া, যেকোনো অস্ত্রোপচারের আগে রক্তের ফ্যাক্টরের পরিমাণ পরিমাপ করা, যেকোনো ব্যথানাশক ওষুধ পরিহার করা। যেহেতু এটি একটি বংশগতির রোগ, পরিবারে এ–জাতীয় রোগের ইতিহাস থাকলে সচেতন থাকা। সচেতনতাই এ রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই হিমোফিলিয়ার সম্পর্কে সচেতন থাকা একান্ত জরুরি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও