কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে ওয়াসাকে

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০৫

প্রচণ্ড দাবদাহে ভুগছে গোটা দেশ। জনজীবন বিপর্যস্ত। এর মধ্যে যদি পানিসংকটে ভুগতে হয় মানুষকে, সেটির মতো কল্পনাতীত কষ্ট আর কী হতে পারে? দেশের সিটি করপোরেশন শহরগুলোর অনেক এলাকায় পানিসংকট প্রকট। যেমনটি আমরা দেখতে পাচ্ছি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার একরামপুর জেলেপাড়ায়। নিরাপদ পানির অভাবে গৃহস্থালির কাজে শীতলক্ষ্যা নদীর দূষিত পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে পাড়াটির বাসিন্দাদের। দীর্ঘ লাইন ধরে তাঁরা আশপাশের মন্দির ও মসজিদ থেকে সংগ্রহ করছেন খাওয়ার পানি। সংকট নিরসনে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।


প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, শীতলক্ষ্যার পারে গড়ে ওঠা জেলেপাড়াটির বয়স প্রায় দুই শ বছর। নদীর মাছের ওপর নির্ভরশীল ছিল পাড়াটি। শীতলক্ষ্যা দূষিত হওয়ার কারণে মাছশূন্য হয়ে পড়লে জেলেরা তাঁদের পেশা বদলে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। মাছ ধরে একসময় সুখে শান্তিতে থাকলেও, পেশা বদলে ফেলে ছোটখাটো কাজে যুক্ত হওয়ার পর জেলেপাড়ার বাসিন্দাদের আগের সেই সুদিন নেই। এখানকার বেশির ভাগ পরিবারই আর্থিকভাবে দুর্বল। ফলে গভীর নলকূপ বসানোর সামর্থ্য তাঁদের নেই। আর এলাকায় ওয়াসার যে সংযোগ আছে, তাতে পানি নেই। প্রায় পাঁচ বছর ধরে ফাল্গুন থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত জেলেপাড়ায় ওয়াসার পানি পাওয়া যায় না।


জেলেপাড়ার মন্দির কমিটির সভাপতি মহাদেব বর্মণ বলেন, দুই দশক আগেও তাঁরা সব ধরনের কাজেই শীতলক্ষ্যার পানি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু নদীর পানি ক্রমাগত দূষিত হয়ে যাওয়ার কারণে সেটি এখন আর করা সম্ভব হয় না। আর কয়েক বছর ধরে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ওয়াসার পানিও তাঁরা পাচ্ছেন না। সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য ওয়াসা ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে তাঁরা বারবার গেছেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।


ওই ওয়ার্ডে ওয়াসার যে পানির পাম্পটি বসানো হয়েছে, সেটি বেশ পুরোনো। এ ছাড়া একরামপুর এলাকাটা পাম্প থেকে সবচেয়ে দূরের এলাকা। ওই এলাকায় পানি যাওয়ার আগেই অন্য গ্রাহকেরা পানি সংগ্রহ করে ফেলছেন। ফলে কিছু এলাকার গ্রাহক পানি পাচ্ছেন না। বিষয়টি সেখানকার দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিজেই স্বীকার করেছেন। তার মানে কয়েক বছর ধরে এ সংকট চলতে থাকলেও সেটি নিরসনে মনোযোগ নেই ওয়াসার। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছেও বিষয়টি গুরুত্বহীন। আমরা আশা করব, একরামপুর এলাকায় ওয়াসা নতুন কোনো পাম্প বসানোর কথা বিবেচনা করবে এবং এর আগপর্যন্ত সিটি করপোরেশন সেখানে নিয়মিত পানি সরবরাহ করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও