আয়ের সংস্থানের উল্লেখ নেই, উচ্চাভিলাষী বাজেটের প্রস্তুতি
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন অনুমোদন করেছে সরকারের আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রাবিনিময় হার-সংক্রান্ত কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিল। এতে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনা হবে ৬ শতাংশে এবং বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
আগামী অর্থবছর সরকার এনবিআর, এনবিআর-বহির্ভূত এবং কর-বহির্ভূত রাজস্ব থেকে মোট ৫ লাখ কোটি টাকা আয় করতে চায়। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
সরকার যখন এ বাজেট প্রাক্কলন অনুমোদন করেছে তখন দেশের মূল্যস্ফীতি উঠেছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ে রয়েছে বড় ধরনের ঘাটতি। ডলার সংকট দূর করতে ব্যয় সংকোচনের পথ অনুসরণ করছে। এ অবস্থায় এ বাজেট প্রাক্কলনে আয়ের সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা ছাড়া ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে যৌক্তিক কর্মপন্থা না থাকা প্রাক্কলনকে উদ্যোগহীন বৈতরণীর সঙ্গে তুলনা করেছেন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
সরকারের আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রাবিনিময় হার-সংক্রান্ত কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের ৫ এপ্রিলের বৈঠকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের প্রাক্কলন অনুমোদনের পর বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ প্রাক্কলন দেখে মনে হচ্ছে গতানুগতি ধারার বাজেট। সব সময় আমরা দেখি আয়ের ক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ঠিক করা হয়, ব্যয়ের ক্ষেত্রেও একই দেখা যায়। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৫.৩ শতাংশ। তার মানে আমরা আবারও একটি সম্প্রসারণমুখী বাজেট দেখতে পাবো। তাতে এবার সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে সমস্যাগুলো আছে, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং ডলার সংকট নিরসন করা—বাজেটে সমস্যা নিরসনে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ থাকবে, এমন কিছু আমি দেখছি না।