বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করলেই ব্যবস্থা
ঘোষণার চেয়ে বেশি দরে ডলার কেনাবেচা করা যাবে না এমন নির্দেশনার পরও অনেক ব্যাংক ঘোষণার বেশি দরে ডলার কেনাবেচা করছে। এমন ১২টি ব্যাংক চিহ্নিত করে এসব ব্যাংকের এমডিকে নিয়ে রোববার (২ এপ্রিল) বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
বেশ আগে থেকে ডলারের দর ঠিক করলেও অনেক ব্যাংক তা মানছে না। কিছু ব্যাংক এখন বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ডলার কিনছে ১১২ থেকে ১১৪ টাকায়। আবার এই ডলার বিক্রি করছে ১১৫ থেকে ১১৬ টাকায়। যদিও ব্যাংকগুলো নথিপত্রে নির্ধারিত দরই দেখাচ্ছে।
বাড়তি দরে ডলার কেনাবেচা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে আজ বিষয়টি জানানো হবে। এ বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হতে পারে।
বেশি দরে ডলার কেনাবেচার বিষয়ে আলাদা বৈঠকে রাষ্ট্রীয় মালিকানার দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংকের এমডিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এসময় এসব ব্যাংকের এমডিকে বাড়তি দরে ডলার কেনাবেচার কারণ জানাতে বলা হবে। এমনটি যদি পরবর্তী সময়ে হয়ে থাকে তবে জরিমানা করা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে আমদানি দায় মেটাতে প্রতি ডলারে ২৫ শতাংশের মতো বেড়ে ১০৭ থেকে ১০৮ টাকায় উঠেছে। দর নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় ৬৬২ কোটি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩১ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সব পর্যায়ে ডলারের সর্বোচ্চ দর বেঁধে দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে কেউ কেউ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত দর মানছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।