রাষ্ট্রদ্রোহ আইন অসাংবিধানিক: পাকিস্তানের আদালত
পাকিস্তানে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন লাহোরের হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের একটি একক বেঞ্চ এ ঘোষণা দেন। আদালতের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানে বাক্স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও সাংবাদিকেরা।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ব্যবহার করছে—এমন অভিযোগ তুলে আইনটির বিরুদ্ধে লাহোরের হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি আবেদন করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি শাহিদ করিম এ রায় দেন। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট যদি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত বাতিল না করেন, তাহলে রায়টি সারা দেশে কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানও। আগাম নির্বাচনের দাবিতে পাকিস্তানজুড়ে সভা–সমাবেশ করে আসছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ শতাধিক মামলা করা হয়েছে।
১৮৬০ সালে ভারতবর্ষে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনটি জারি করেছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার। আইনটিতে বলা হয়েছে, ‘কেউ যদি মৌখিক, লিখিত, আকার–ইঙ্গিত, দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড বা অন্য কোনোভাবে আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় বা প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায় বা অবমাননা করে বা করার চেষ্টা করে অথবা অসন্তোষ ছড়াতে উসকানি দেয় বা উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করে, তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ জরিমানা করা হতে পারে অথবা জরিমানাসহ বা জরিমানা ছাড়া কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে, যার মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।’
- ট্যাগ:
- আন্তর্জাতিক
- রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইন