খসড়াতেই আটকে আছে ট্রান্সজেন্ডার আইন
দেশে ট্রান্সজেন্ডার মানুষের জন্য সুরক্ষা আইনের দাবি উঠে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মানবাধিকার কমিশন ও সমাজসেবা অধিদফতর থেকে থেকে ট্রান্সজেন্ডার ও তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষায় আলাদা আইন প্রণয়নে খসড়া তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছর। কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে টেবিলেই সীমাবদ্ধ রয়েছে খসড়াটি।
এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশন থেকে ট্রান্সজেন্ডার সুরক্ষা আইনের প্রস্তাব জানানো হলেও সমাজসেবা অধিদফতর থেকে হিজড়া অধিকার আইন প্রণয়নে খসড়া তৈরিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফলে এটা হিজড়া অধিকার আইন নাকি ট্রান্সজেন্ডার সুরক্ষা আইন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
দেশের ট্রান্সজেন্ডার অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, বৈষম্যমূলক আইন, নীতি ও অনুশীলনের কারণে ট্রান্সজেন্ডার ও তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মানুষসহ যৌন-বৈচিত্র্যমুখী ব্যক্তিরা এখনও তাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে আলাদা আইন হলে পারিবারিক, সামাজিক, কর্মস্থলে তাদের অবস্থান তৈরি হবে বলে মনে করেছেন তারা।
ট্রান্সজেন্ডার ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়ে কাজ করা সংগঠন বন্ধু ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর ফারাহ ফারিন বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব। সবাইকে সমান সুযোগ-সুবিধা না দিলে বৈষম্য হয়ে যাবে। দেশে আইন যেহেতু বড় একটা মাধ্যম, তাই আইনটা থাকলে অধিকার নিয়ে কথা বলাটা সহজ হয়। কিন্তু আইন না থাকলে কোনও অভিযোগ দিলে তখন আইন নেই বলে একটি বাধা তৈরি করা হয়। এতে সেবা-সুরক্ষা থেকে ট্রান্সজেন্ডার বঞ্চিত হন।