
সাংবাদিক শামসুজ্জামানের অপরাধটা কোথায়: প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সাংবাদিক শামসুজ্জামান একজন মানুষের উক্তি, সত্য ঘটনা তুলে ধরেছেন। এটি করে তিনি কী অপরাধটা করেছেন, সেটা বোধগম্য নয়।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা ভয়াবহ ঘটনা। ওই সাংবাদিক কী অপরাধটা করেছেন, আমি তো বুঝলাম না! সত্য যে ঘটনা, সেটা তিনি তুলে ধরেছেন। একজন মানুষের যে উক্তি, সে উক্তি তুলে ধরেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অপরাধটা কী, ২৬ মার্চের দিনেই এটা করাটা? তার মানে স্বাধীনতাকে অপমান করা হয়েছে, মানহানি করা হয়েছে। তো একটা মানুষ যদি স্বাধীনতার দিনে ক্ষুধার্ত বোধ করে, সে যদি বঞ্চিত বোধ করে এবং সে যদি ওই কমেন্টটা দেয় যে দেশ স্বাধীন হয়ে আমার কী লাভ হলো। অপরাধটা কোথায়?’
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের এক স্বরাজ বিপ্লবীর পরিবারের ওপর নির্মিত একটি ছায়াছবির সংলাপ ‘স্বাধীনতা কী ধুয়ে খাব’ উদ্ধৃত করেন। তিনি বলেন, ‘যে স্বাধীনতা আমাদের খেতে দেয় না, যে স্বাধীনতা এভাবে মানুষকে নির্যাতন করে, নিপীড়ন করে, হত্যা করে, সে স্বাধীনতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এটাকে খেদোক্তি বলে। তার অর্থ তো এই নয় যে স্বাধীনতাবিরোধী। এখন শামসুজ্জামান সাহেব রিপোর্ট করেছেন, তার জন্য তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা বলার কারণে যদি সাংবাদিককে হেনস্তা করা হয়, সেটা কি সরকারকে ক্রেডিট দিচ্ছে?’
সংবাদ সম্মেলনে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, একটা গণমাধ্যম তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে, অন্য গণমাধ্যম তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। এবার একটু ব্যতিক্রম দেখা গেল। একটা গণমাধ্যম একটা প্রতিবেদন তুলে ধরল, তার বিপরীতে একাধিক গণমাধ্যম পাল্টা প্রতিবেদন করল। এটা গণমাধ্যমের মধ্যে বিভক্তি তুলে ধরার কোনো উদ্দেশ্য কি না?