কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নজরদারি প্রয়োজন

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৪

একের পর এক দুর্ঘটনা জানান দেয় সড়কে কী ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। প্রতিটি দুর্ঘটনায় কিছু মানুষ মারা যায়, কিছু মানুষ আহত হয়ে যন্ত্রণা ভোগ করে, ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আহাজারি করতে থাকে, কিন্তু কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙে না। দুর্ঘটনার পর পরিবহনমালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে দায় এড়ানোর চেষ্টা চলে। কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত দেখাতে থাকে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায় না।


২২ মার্চ প্রথম আলোয় ‘সড়ক মন্ত্রণালয় পারছে না’ শিরোনামে খবর বের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই সচিব ও বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেছেন। তাঁরা বলেন, প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য সর্বাংশে সত্য নয়।


কিন্তু কোথায় কোথায় ভুল আছে, তা তাঁরা বলেননি। প্রথম আলোর প্রতিবেদনেও বলা হয়নি যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কোনো সাফল্য নেই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বহু প্রকল্প তারা বাস্তবায়ন করেছে, এখনো অনেক প্রকল্প চলমান। এসব নিয়ে প্রথম আলো প্রশ্ন তোলেনি। প্রশ্ন তুলেছে সড়কে বিশৃঙ্খল অবস্থা ও দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে।


সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের দুই সচিব বলেন, পথচারীদের অসচেতনতা ও অপরিপক্ব মোটরসাইকেলচালকদের জন্যই বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। এটি সড়কে প্রাণহানি ও দুর্ঘটনার জন্য একমাত্র কারণ নয়। সড়ক মন্ত্রণালয় সড়ক উন্নত ও ত্রুটিমুক্ত করতে কাজ করছে, সেটাও আমরা অস্বীকার করছি না।


কিন্তু সড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলা কিংবা লাইসেন্স ছাড়া চালকেরা কীভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তো আমাদের করতেই হবে। যানবাহন পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁরা লোকবল কম থাকার কথা বলেন। কিন্তু সেই কারণে তো সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলতে পারে না। একজন চালক কত ঘণ্টা একটানা গাড়ি চালাতে পারবেন, সে ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও পালিত না হওয়ার দায় যাত্রী, পথচারী কিংবা সাধারণ মানুষের ওপর চাপালে হবে না।


সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের যে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১৯ জন মানুষ মারা যান, সেই বাসের চালক ঘুমঘুমচোখে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ ঘণ্টার বেশি বাস চালাতে গিয়ে চালক অতিশয় ক্লান্ত ছিলেন। গত জানুয়ারিতে বরিশাল থেকে আসা যে অ্যাম্বুলেন্সটি একই এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ছয়জন মারা গেলেন, সেটির চালক একটানা ১৮ ঘণ্টা স্টিয়ারিংয়ে বসা ছিলেন। এসব ক্ষেত্রে বিআরটিএ ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যতটা তদারকি থাকা দরকার, তার মারাত্মক ঘাটতি দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন না করে পারে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও