কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হৃদরোগ-স্ট্রোক ‘উস্কে দিতে পারে’ ইফতারের ভাজাপোড়া

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৩, ২১:৫১

দিনভর রোজা শেষে কী দিয়ে ইফতার করবেন তা নিয়ে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা চলছে জোরেশোরে। ব্যবসার উদ্দেশে পাড়া-মহল্লার হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোও তৈরি করছে ভাজাপোড়ার মচমচে আইটেম। তবে এসব খাবার খাওয়ার বিষয়ে হৃদরোগ-স্ট্রোকে আক্রান্ত এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অন্যান্য রোগের মতো হৃদরোগ-স্ট্রোক ‘উস্কে দিতে পারে’ ইফতারের এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার।
 
চিকিৎসকরা বলছেন, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। এসব খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রোজার মাসে ইফতারিতে এসব খাবার পরিহার করে ফলমূল-শাকসবজিসহ সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ তাদের।


ইফতারে যা খাওয়া হয়, স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর
 
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোজার মাসে আমাদের এমনিতেই কম খাওয়াই উচিত। কারণ, ধর্মীয়ভাবে এ মাসে সংযমের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মাসটিতে ইফতার বা সাহরিতে যা খাওয়া হয়, সেটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমাদের দেশে ইফতার মানেই ভাজাপোড়া বেশি খাওয়া, তৈলাক্ত জিনিস বেশি খাওয়া। এটা বিশেষ করে যারা হার্টের রোগী, যারা ডায়াবেটিসের রোগী, তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।


তিনি বলেন, এসব খাবারে হৃদরোগ না হলেও ঝুঁকিতে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমন খাবার খেলে প্রথমত হজমের সমস্যা হয়, পরে কোলেস্টেরল লেভেল, ব্লাড সুগার লেভেলের কন্ট্রোল ঠিক মতো থাকে না। এজন্য আমি বলব, ভাজাপোড়া কম খেয়ে বরং শাকসবজি, চিড়ামুড়ি, দই— এ ধরনের খাবার বেশি খাওয়া। এগুলো হজমের জন্য ভালো, আবার কোলেস্টেরল, সুগার লেভেলও ভালো রাখে।


 কম খাবেন, তবে যা খাবেন স্বাস্থ্যসম্মত খাবেন
 
ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, ইফতারিতে যাই খান, পরিমিত খেতে হবে। যেকোনো কিছু বেশি খেলে বিপরীত প্রভাব পড়বে। কম খাবেন, তবে যা খাবেন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন। তাহলেই রোজার মাস সুস্থ থাকবেন এবং সুন্দরভাবে রোজাগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।


সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে এত খাবার রক্তচাপে কোনো সমস্যা হয় কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইফতারে খাওয়ার পর আবার তারাবির নামাজের পর ডিনার, এরপর আবার সাহরি। সবমিলিয়ে এ খাওয়া-দাওয়া রক্তচাপে হয়তো সরাসরি কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে হজমে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে ইফতারের পর হাল্কা খেয়ে কিছুক্ষণ পর একবারে ডিনার কমপ্লিট করে ফেলা উচিত। এরপর লম্বা গ্যাপ দিয়ে সাহরি খাওয়া উচিত।
 
ডাবের পানি-তরমুজ হতে পারে ইফতারের নিত্যসঙ্গী
 
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, যারা হৃদরোগী না, তবে হৃদরোগের রিচ ফ্যাক্টর আছে, যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ— এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে আমরা বলি ইফতারের খাবারটা সুষম খেতে। কিন্তু অধিকাংশ সময় দেখা যায় তারা ভাজাপোড়া বেশি খান। একজন হৃদরোগ চিকিৎসক হিসেবে আমরা সবসময় বলি ইফতারিতে ভাজাপোড়া না খেয়ে ফল জাতীয় খাবার ও শাকসবজি খেতে পারেন। বিশেষ করে সারাদিন তৃষ্ণা শেষে ডাবের পানি খেতে পারেন, তরমুজ খেতে পারেন। এছাড়া পেঁপেসহ দেশীয় ফলগুলোও খেতে পারেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও