হাজার হাজার ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া খালিদ-খাইরুলের হদিস নেই
জন্মনিবন্ধনের সরকারি সার্ভার ছিল তাঁদের হাতের মুঠোয়। চাইলেই পাসওয়ার্ড দিয়ে দেশের যেকোনো স্থানে অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের তথ্য সংযুক্ত (এন্ট্রি) ও সংশোধন করতে পারতেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন) সাবেক প্রোগ্রামার মো. খালিদ ও লক্ষ্মীপুরের খাইরুল ইসলাম নামের এ দুই ব্যক্তি যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ দুজন সম্পর্কে জানতে পেরেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, চট্টগ্রাম। তাঁরা হাজার হাজার জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২১ সালের জুনে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এবং উত্তর ও দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে নয়টি জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির ঘটনায় মামলা হয়। মামলাগুলো করা হয় ওয়ার্ডগুলোর পক্ষ থেকে। এসব মামলা তদন্ত করছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপপরিদর্শক স্বপন কুমার সরকার।
স্বপন কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা আশরাফুল আলম নামের একজন জন্মনিবন্ধনের সার্ভারে ঢুকে দেশের যেকোনো স্থানের ঠিকানায় তথ্য সংযুক্ত করার কথা স্বীকার করেছেন। প্রতিটি নিবন্ধনের জন্য এক থেকে দেড় হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি। তাঁকে সার্ভারের পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন খালিদ। তাই খালিদকে দিতেন নিবন্ধনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
আশরাফুলের জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুরের খাইরুলের মাধ্যমে খালিদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, রাজশাহী, যশোরের বিভিন্ন এলাকার দালালের মাধ্যমে কাজ নিতেন তিনি। তাঁর বাড়ি যশোরের শার্শায়। তিনি টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার দুই থেকে তিন হাজার মানুষকে জন্মনিবন্ধন সনদ পাইয়ে দিয়েছেন।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- জালিয়াতি
- ভুয়া
- সনদ
- জন্মনিবন্ধন