অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মসংস্থানের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
অনানুষ্ঠানিক খাতের আগেও অনানুষ্ঠানিক খাত ছিল বলা যায়। উদাহরণ হিসেবে প্রসান্ত রায়ের ‘হারিয়ে যাওয়া জীবিকা’ বইটিতে লিপিবদ্ধ জীবিকার উদাহরণ দেয়া যায়। তিনি পশ্চিম বাংলার কিন্নর রায়ের ‘লুপ্ত জীবিকা’ বইয়ের আলোকে বাংলাদেশের ৩০টি হারিয়ে যাওয়া জীবিকা নিয়ে তার বইটি লেখেন। সেদিনের ‘টাইপ রাইটার’ যে আর নেই তা কিছুটা বয়সী মানুষকে অবাকই করবে।
‘পুরনো কাপড়ের বদলে বাসনকোসন’-এর কথাও—যেসব কাজকে আজকে আমরা অনানুষ্ঠানিক খাতের কাজ হিসেবে জানি তা প্রথমে এ নামে চিহ্নিত হয় আইএলও-ইউএনডিপির কেনিয়া রিপোর্টে যার কথা এরই মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা যায় ‘অনানুষ্ঠানিক আয়ের সুযোগ’ (ইনফরমাল ইনকাম অপরচুনিটিজ) নামটি প্রথম ব্যবহার করেন কেইথ হার্ট তার ঘানার/আক্রার একটি গবেষণায়। আইএলও চিহ্নিত অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের কাজের উদাহরণ হিসেবে রয়েছে দোকানভিত্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসা; রাস্তায় দাঁড়িয়ে বা বসে হরেক রকমের জিনিস বিক্রি; দর্জি ও সেলাইয়ের কাজ; জুতা সেলাই ও কালি করা; বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কশপ; গাড়ি ও টেম্পো/লেগুনার মতো যানবাহনের এবং ম্যানুয়ালি চালিত বা নন-মোটরাইজড যানের (যেমন ঠেলাগাড়ি) চালক; কাঠমিস্ত্রি ও নির্মাণ শিল্পে বিভিন্ন দক্ষতা স্তরের শ্রমিক (জোগালি থেকে রাজমিস্ত্রি); স্যানিটারি মিস্ত্রি, প্লামবার ও ইলেকট্রিশিয়ান।
- ট্যাগ:
- মতামত
- কর্মসংস্থান
- জীবিকা
- জীবিকা নির্বাহ