You have reached your daily news limit

Please log in to continue


কাপ্তাইয়ে ক্যাম্পিং ও কায়াকিং

সকালবেলার চন্দ্রঘোনা। কুয়াশার আচ্ছাদন থেকে চারপাশ আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠতে শুরু করেছে কেবল। রাঙ্গুনিয়া লিচুবাগান হয়ে আমরা যখন চন্দ্রঘোনা বাজারে পৌঁছাই, বেলা বাড়ার সঙ্গে মফস্বল শহরটিও ব্যস্ত হয়ে উঠছে। দূর পাহাড়ের জুমে ফলানো আনারস এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা; গায়ের চাদর একপাশে রেখে মিঠে রোদ গায়ে মাখতে মাখতে মধ্যবয়সী বিক্রেতা বেতের মোড়া পেতে বসেছেন। ধাতব শব্দ তুলে দোকানের শাটার একটা-দুটো করে উঠতে শুরু করেছে। 

দীর্ঘ ভ্রমণের পর আড়ষ্ট হয়ে থাকা শরীর এক-আধটু কসরতের জন্য মুখিয়ে ছিল। তবে সেই আশায় গুঁড়েবালি। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের তাড়া—তড়িঘড়ি ওঠে পড়তে হবে। তিন চাকায় চড়িয়ে নিয়ে যাবে আমাদের গন্তব্যস্থল কাপ্তাইয়ে, কর্ণফুলী নদীর তীরসংলগ্ন ক্যাম্পসাইটে। সারা রাত সিলেট-চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণের পর ভোরবেলায় বাস, অতঃপর অটোরিকশায় প্রায় ষোলো ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা শেষ হচ্ছে। রাঙামাটিতে এটা আমার প্রথম ভ্রমণ এবং এই আসাটাও হুটহাট করেই। 

সপ্তাহের মাঝামাঝি এক সকালবেলার কথা। সেদিন সকাল সকাল অচেনা নম্বর থেকে ফোনে একটা এসএমএস আসে। আমেরিকাপ্রবাসী বন্ধু রাফাত আনসারী সেটি পাঠিয়েছে। মেসেজের সারমর্ম, সে দুই দিন আগে দেশে ছুটিতে এসেছে এবং সপ্তাহের শেষ দিকে কয়েকজন মিলে রাঙামাটি বেড়াতে যাচ্ছে। আমাকেও সেই দলের সদস্য ধরে নিয়ে ইতিমধ্যে ট্রেনের টিকিটও কেটে ফেলেছে। আমি যেন অমত না করি! 

পাহাড়ের গা পেঁচিয়ে ফিতার মতো চলে যাওয়া পিচঢালা পথ ধরে ছোট বাহনজোড়া চলতে থাকল। মাঝে মাঝে একটা-দুটো সিঁড়িপথ চোখে পড়ল, মূল পথ থেকে ওপরের দিকে উঠে গেছে, পাহাড়ের চূড়ায় বাংলো আকৃতির একটা-দুটো কুটির। যেতে যেতে পথের দুপাশ ঘন সবুজ হয়ে ওঠে। বনানীর চেহারাও পাল্টায়। পাহাড়জুড়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বনের ঠাসবুনোট, বনতলে লতাগুল্ম কন্দজাতীয় উদ্ভিদের আচ্ছাদন। আন্দাজ করি, কাপ্তাইয়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমায় চলে এসেছি। পথের ধারে সাঁটানো সাইনবোর্ড দেখে নিশ্চিত হলাম কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান হয়েই যাচ্ছি। 

অরণ্যের বুনো স্পর্শ মেখে চোখেমুখে আছড়ে পড়ছে পৌষের বাতাস। গন্তব্যস্থল কাপ্তাই প্রশান্তি পার্কের ফটকের সামনে ইতিমধ্যে এসে পড়েছি। ঘড়ির কাঁটা বলছে, সবে দুপুর হতে চলেছে। আমরা এসেছি ক্যাম্পিং ট্যুরে। তাই আপাতত বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে সবার ব্যাগ-ব্যাগেজ রাখার জন্য একটা রুম পাওয়া গেল। সেখানে ব্যাগপত্র রেখে ছাউনিতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে চলে গেলাম নদীর একদম তীরে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন