বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অদ্ভুত বৈষম্য দূর হবে কবে?

প্রথম আলো ড. নাদিম মাহমুদ প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) স্নাতকোত্তরে তাদের নিয়মিত শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে—এমন একটি নীতিমালা গ্রহণ করেছে। ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক পাস করারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে তাদের নিয়মিত শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর আসন ফাঁকা সাপেক্ষে ‘ভর্তি পরীক্ষার’ মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। শুধু তা–ই নয়, আগে যখন নিজ বিভাগে নিয়মিত স্নাতকোত্তর করার বাইরে অন্য কোনো বিভাগে পড়াশোনার সুযোগ পেতেন না, এখন থেকে তাঁরা ইচ্ছা করলে কেবল স্নাতকোত্তরের জন্য বিভাগ পরিবর্তন করতে পারছেন বলে গণমাধ্যমে ভাষ্য দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মটি অনেক দিন ধরে চলে এলেও আমাদের দেশে এটি অধরা ছিল। এ উদ্যোগের ফলে ঢাবির বাইরে পাবলিক কিংবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করা একজন শিক্ষার্থীর বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ার আক্ষেপ দূর হবে। তেমনি আন্তবিভাগীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের নতুন মাত্রা তৈরি হবে। আঞ্চলিক সংস্কৃতিরও আদান-প্রদান ঘটবে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ বিভাগগুলোর পড়াশোনায় কিছুটা বৈচিত্র্য মিলবে।


শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এমন শিক্ষার্থীহিতৈষী সিদ্ধান্ত আমাদের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া উচিত। যদিও সন্ধ্যাকালীন কোর্স নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীর বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক কোর্স চালু রয়েছে, তবে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্নাতকোত্তরের সুযোগ তৈরি করা সময়ের ব্যাপারমাত্র।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তরে এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কয়েক দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের শিক্ষক নিয়োগে তেমন কোনো কল্যাণমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেনি। বলতে গেলে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী ছাড়া দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করেছে। যদিও প্রতিটি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান’ করা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি, তাঁরা যদি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সেরাও হয়ে থাকেন, তাহলেও তাঁদের শিক্ষক হওয়ার দৃশ্যমান উদাহরণ আমাদের কাছে নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও