পঞ্চগড়ের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল
পঞ্চগড়ের সাম্প্রদায়িক হামলা ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতেই সরকার এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পূর্বপরিকল্পিতভাবে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ভিন্নদিকে নিতে ন্যক্কারজনকভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
পঞ্চগড়ের সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই তদন্তের বিষয়বস্তু তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো সম্প্রদায়ের ওপর এ ধরনের হামলা অমানবিক, দুঃখজনক। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে সরকার ও পুলিশ দায়িত্বে অবহেলা করেছে। এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ভিন্ন দিকে নিতেই পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকার নিজেদের লোকজন দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ এখন মারাত্মকভাবে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতেই গণহারে গ্রেপ্তার শুরু করেছে। পঞ্চগড়ের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৮১ জন বিএনপি সমর্থক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অগ্নি সন্ত্রাস সব সময় আওয়ামী লীগই ঘটিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রহীনতা, জবাবদিহি নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারলেই সংকটের সমাধান হবে।
এ সময় বিএনপির তদন্ত কমিটির প্রধান দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এই ঘটনার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। জেলার পুলিশ সুপার জেলা প্রশাসক আমাদের সময় দিয়েও পরে আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি। আমরা এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’