কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বাংলাদেশের নতুন শুরু

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৬:১৫

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি সাকিব আল হাসানের দল।


সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৮ ওভারে ১৫৮/৪ (ইংল্যান্ড ‌১৫৬/৬)


বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়


জয় দিয়ে শুরু হলো টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা। মিলল এক ঝাঁক পরিবর্তন আনার সুফল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে এগিয়ে গেল সিরিজে।


প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের ১৫৬ রান পেরিয়ে গেছে ১২ বল বাকি থাকতে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর: 


ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৬/৬ (সল্ট ৩৮, বাটলার ৬৭, মালান ৪, ডাকেট ২০, মইন ৮*, কারান ৬, ওকস ১, জর্ডান ৫*; নাসুম ৪-০-৩১-১, তাসকিন ৪-০-৩৫-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৪-১, সাকিব ৪-০-২৬-১, হাসান ৪-০-২৬-২) 


বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৫৭/২ (লিটন ১২, রনি ২১, শান্ত ৫১, তৌহিদ ২৪, সাকিব ৩৪, আফিফ ১৫*; কারান ২-০-১৮-০, ওকস ২-০-২১-০, আর্চার ৩-০-২৭-১, রশিদ ৩-০-২৫-১, উড ২-০-২৪-১, মইন ৪-০-২৭-১, জর্ডান ২-০-১৬-০) 


ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী


একটুর জন্য বাঁচলেন আফিফ


ওভার প্রতি প্রয়োজন ছয়ের নিচে। তবুও ঝুঁকি নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন। একটু হলেই দিতে হচ্ছিল এর মাশুল।


মইন আলির আগে বলে রিভার্স সুইপ ঠিক মতো করতে পারেননি আফিফ। পরের বলে আবারও একই শট খেলেন তিনি। এবার পয়েন্টে দ্বিতীয় চেষ্টায় একটুর জন্য ক্যাচ নিতে পারেননি দাভিদ মালান।


সে সময় ৫ রানে ছিলেন আফিফ।


১৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৩।


শান্তর ফিফটির পর ভাঙল জুটি


মইন আলির বলে সিঙ্গেল নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত স্পর্শ করেছেন পঞ্চাশ। ২৭ বলে ফিফটি করতে তিনি মেরেছেন আটটি চার।


পরের বল ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় স্যাম কারানের হাতে ধরা পড়েন তৌহিদ হৃদয়। ভাঙে ৩৯ বল স্থায়ী ৬৫ রানের জুটি।


অভিষেকে ১৭ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ২৪ রান করেন হৃদয়।


১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১১১। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী সাকিব আল হাসান। জয়ের জন্য শেষ ৮ ওভারে ৪৬ রান চাই স্বাগতিকদের।


বাংলাদেশের একশ


আদিল রশিদকে স্লগ সুইপ করে গ্যালারিতে নিয়ে ফেললেন তৌহিদ হৃদয়! ছক্কায় বাংলাদেশের রান গেল তিন অঙ্কে, একাদশ ওভারে।


ওয়ানডে সিরিরে বাংলাদেশকে দারুণ ভোগানো লেগ স্পিনারকে ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছেন হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। রশিদ প্রথম ৩ ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান।


মাঝপথে চালকের আসনে বাংলাদেশ


এক পর্যায়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় টানা ছয়টি চার মারার পর মোমেন্টাম চলে এসেছে বাংলাদেশের পক্ষে। দুই তরুণ ব্যাটসম্যান দলকে রেখেছেন কক্ষপথে। তাদের দৃঢ়তায় মাঝপথে খুব ভালো অবস্থানে সাকিব আল হাসানের দল।


১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৯৮। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৫৯ রান চাই স্বাগতিকদের।


২৩ বলে আট চারে ৪৭ রানে খেলছেন শান্ত। দুই চারে ১৩ বলে হৃদয়ের রান ১৭। তাদের জুটি পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ২৮ বলে।


শান্তর টানা চারটি চার


মার্ক উডের গতি একটুও ভাবাতে পারছে না নাজমুল হোসেন শান্তকে, বরং যেন উপভোগ করছেন। গতিময় ইংলিশ পেসারকে টানা চারটি চার মেরেছেন তিনি।


প্রথমটা ক্যাচের মতো ওঠেছিল, একটুর জন্য নাগালে পাননি মিড-অনের ফিল্ডার। পরের তিনটি বাউন্ডারি ছিল তিনটি চমৎকার শটে। ওই ওভার থেকে আসে ১৭ রান।


৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৭১। ৬ বলে ১০ রানে খেলছেন তৌহিদ হৃদয়। পাঁচ চারে ১২ বলে ২৭ রানে খেলছেন শান্ত।


পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট


পরপর দুই ওভারে উইকেট হারালেও দলের উপর এর প্রভাব পড়তে দিচ্ছেন না নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়।


৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫৪। শান্ত ও হৃদয়- দুই ব্যাটসম্যানই খেলছেন ৬ বলে ১০ রান নিয়ে। শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে একটি বাউন্ডারি, অভিষিক্ত হৃদয় মেরেছেন দুটি।


ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন রনি তালুকদার। কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন লিটন দাস। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলকে টানছেন বিপিএলে আলো ছড়ানো দুই তরুণ।


টিকলেন না লিটন


দুঃস্বপ্নের মতো কাটানো ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লিটন দাস। প্রথম ওভারেই মেরেছিলেন বাউন্ডারি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না এই কিপার-ব্যাটসম্যান। জফ্রা আর্চারকে পুল করতে গিয়ে ফিরলেন সহজ ক্যাচ দিয়ে।


অফ স্টাম্পের বাইরের গতিময় ডেলিভারিতে টাইমিং করতে পারেননি লিটন। মিডঅফে সহজ ক্যাচ নেন ক্রিস ওকস। ১০ বলে দুটি চারে লিটন করেন ১২ রান।


৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪৪। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়।


রশিদের গুগলিতে বোল্ড রনি


পেসারদের খুব ভালোভাবে সামলাচ্ছিলেন রনি তালুকদার ও লিটন দাস। বাংলাদেশের শুরুর জুটি ভাঙতে পাওয়ার প্লের ভেতরেই আদিল রশিদকে আক্রমণে আনলেন জস বাটলার। কাজেও লাগল, গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেলেন রনি।


লেগ স্পিন মনে করে খেলেছিলেন রনি। ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ছিল বেশ গ্যাপ। সেটা দিয়েই লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে বল।


প্রায় ৮ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে চারটি চারে ১৪ বলে ২১ রান করেন রনি।


এক বল পর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলিবডব্লিউ হতে বসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর তিনি বাঁচেন রিভিউ নিয়ে। গ্লাভস স্পর্শ করেছিল বল।


পরের বলে বাউন্ডারিতে রানের খাতা খুলেন শান্ত।


৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৩৭।


শুরুতে চড়াও রনি


প্রায় ৮ বছর পর দেশের হয়ে প্রথমবার খেলতে নেমে প্রথম বলে রনি তালুকদার মারলেন চার। ক্রিস ওকসের পরের ওভারে তার ব্যাট থেকে এলো আরও দুটি বাউন্ডারি। ফেরার ম্যাচে শুরুতে বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন রনি।


২ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ২১। ৮ বলে তিন চারে রনির রান ১৬। ৪ বলে এক চারে ৫ রানে খেলছেন লিটন দাস।


১৫৬ রানে থামল ইংল্যান্ড


দশম ওভারের শেষ ওভারে ভেঙেছিল ইংল্যান্ডের শুরুর জুটি। ১০ ওভার শেষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রান ছিল ১ উইকেটে ৮০। সেখান থেকে দুইশ রানের আশেপাশে যাওয়া খুব অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তাদের কম রানেই থামিয়েছে বাংলাদেশ।


২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করেছে ইংল্যান্ড।


লক্ষ্যটা নাগালে রাখায় দারুণ অবদান হাসান মাহমুদের। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তরুণ এই পেসার নেন ২ উইকেট। দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদও করেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং।


৪২ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বাটলার। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী ফিল সর্ট ৩৫ বলে করেন ৩৮। তিন চারে ১৩ বলে বেন ডাকেট করেন ২০। আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।


শেষ ওভারের প্রথম বলে চমৎকার স্লোয়ারে ক্রিস ওকসকে বোল্ড করে দেন তাসকিন আহমেদ। শেষ বলেও পেতে পারতেন উইকেট। কিন্তু সীমানা দড়ি পেরিয়ে যাওয়ার আগে বল ছুড়ে দিলেও মইন আলির ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি রনি তালুকদার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড ‌১৫৬/৬
(সল্ট ৩৮, বাটলার ৬৭, মালান ৪, ডাকেট ২০, মইন ৮*, কারান ৬, ওকস ১, জর্ডান ৫*; নাসুম ৪-০-৩১-১, তাসকিন ৪-০-৩৫-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৪-১, সাকিব ৪-০-২৬-১, হাসান ৪-০-২৬-২)


৩২ বলে বাটলারের ফিফটি


দ্রুত ২ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড যেন দিক না হারায় তা নিশ্চিত করছেন জস বাটলার। সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ৩২ বলে স্পর্শ করেছেন ফিফটি।


১৯ রানে সাকিব আল হাসানের হাতে জীবন পাওয়ার পর থেকে দারুণ ব্যাটিং করছেন বাটলার। হাসান মাহমুদকে পরপর দুই বলে ওড়িয়েছেন ছক্কায়। তার ব্যাটেই বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।


১৩ ওভারে সফরকারীদের রান ২ উইকেটে ১০৬। ৩৩ বলে ৫৬ রানে ব্যাট করছেন বাটলার। ৩ বলে বেন ডাকেটের রান ৩।


মালানকে ফেরালেন সাকিব


বেশিক্ষণ টিকলেন না দাভিদ মালান। সাকিব আল হাসানকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় লংঅনে ধরা পড়লেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।


বাঁহাতি স্পিনারের বল যতটা তুলতে চেয়েছিলেন ততটা পারেননি মালান। সীমানায় চমৎকার ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।


৭ বলে মালান করেন ৪ রান।


১২ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ৮৯। ক্রিজে জস বাটলারের সঙ্গী বেন ডাকেট।


টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ


সংস্করণ বদলালেও ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হলো না জস বাটলারের। সফরে টানা চতুর্থবার টস হারলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান টস জিতে নিলেন ব্যাটিং।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও