বার্ন ইউনিটে মারা গেলেন মুসা, নিহত বেড়ে ২১
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। সবশেষ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে মৃত্যু হয়েছে হাফেজ মুসা হায়দার (৪২) নামের এক ব্যক্তির। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন।
তিনি জানান, ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
হাফেজ মুসার শ্বশুর বাসেদ আলী জানান, মুসার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামে। বাবার নাম জামান। এলাকাতে তাঁর জননী ফার্মেসি ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে। বাথরুমের মালামাল কিনতে চাচাতো আবু জাফর সিদ্দিক তারেককে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার সিদ্দিক বাজার এলাকায় এসেছিল। এই ঘটনায় তার চাচাতো ভাই আবু জাফর তারেক (৩৪) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে আসার পর উদ্ধারকারীদের কাছে তাঁর বন্ধুর মোবাইল নাম্বার বলেছিল। পরে ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে আসি। এক বছর আগে বিয়ে করেছিল। স্ত্রীর নাম তামিমা আক্তার। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিল মুসা।’
এই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৯ জন ভর্তি আছেন। তাঁরা হলেন—মো. হাসান, ইয়াসিন, খলিল, আজম, অলি শিকদার, বাবলু, আল আমিন, বাচ্চু মিয়া, জাহান এবং মোস্তফা। প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসাধীন সবার অবস্থা সংকটাপন্ন।
উল্লেখ্য, সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাঁরা হলেন—কুমিল্লার মো. সুমন (২১), বরিশালের ইসহাক মৃধা (৩৫), যাত্রাবাড়ীর মুনসুর হোসেন (৪০), পুরান ঢাকার মো. ইসমাইল (৪২), চাঁদপুরের আল আমিন (২৩), কেরানীগঞ্জের রাহাত (১৮), চকবাজারের মমিনুল ইসলাম (৩৮) ও নদী বেগম (৩৬), মুন্সিগঞ্জের মাঈন উদ্দিন (৫০), পুরান ঢাকার বংশালের নাজমুল হোসেন (২৫), মানিকগঞ্জের ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), মুন্সিগঞ্জের আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), বংশালের আকৃতি বেগম (৭০), যাত্রাবাড়ীর নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, বংশালের হৃদয়, যাত্রাবাড়ীর মো. ইদ্রিস মীর (৬০), বংশালের আব্দুল হাসিম সিয়াম (৩৫), পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী মোমিন উদ্দিন সুমন ও সম্রাট, নোয়াখালীর রবিন হোসেন শান্ত এবং মুন্সিগঞ্জের হাফেজ মো. মুসা।